কেটিএম মোটরসাইকেল তৈরি করবে রানার

প্রকাশ | ২৬ জানুয়ারি ২০২১, ১১:২৯

আসাদুজ্জামান, ঢাকাটাইমস

২৫ জানুয়ারি বাংলাদেশের বাজারে কেটিএম ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল উন্মোচন করে রানার অটোমোবাইল লিমিটেড। দুইটি মডেলে পাওয়া যাবে এই বাইক। ভারত থেকে আমদানি করা কেটিএম মোটরসাইকেলের দাম বেশ চড়া। দাম কমাতে স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে রানার।

রানার অটোমোবাইলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী রিয়াজুল চৌধুরী বলেন, ‘আমরা বিখ্যাত কেটিএম মোটরসাইকেল বাংলাদেশে উৎপাদনের পরিকল্পনা করছি। সেক্ষেত্রে কেটিএম মোটরসাইকেলের দাম কিছুটা কমবে। ময়মনসিংহের ভালুকায় রানার ফ্যাক্টরিতে এই মোটরসাইকেল উৎপাদন করতে হবে।’

তিনি আরো বলেন,  ‘রানার অটোমোবাইলস লিমিটেড সর্বদা গ্রাহকদের জন্য সর্বোত্তম অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে নতুন পণ্য এবং উদ্ভাবন আনতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। বাইক বাজারে ছাড়ার ঘোষণার পর থেকে কেটিএমের জন্য বাইক প্রেমীদের উচ্ছ্বাস এবং আগ্রহ দেখে আমরা অভিভূত।’

তিনি জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে দুইটি মডেলের কেটিএম বাইক পাওয়া যাবে। এগুলো হলো- কেটিএম ১২৫ ডিউক এবং কেটিএম আরসি ১২৫ মডেল। এর মধ্যে কেটিএম ১২৫ ডিউক মডেলটি দুইটি ভার্সনে পাওয়া যাবে। হাইএন্ড ভার্সনের দাম  ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। লোএন্ড ভার্সন পাওয়া যাবে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকায়। কেটিএম আরসি ১২৫ মডেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

বিশ্বের এক নম্বর প্রিমিয়াম মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড কেটিএম দেশের শীর্ষস্থানীয় নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রানার অটোমোবাইলস লিমিটেডের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশে তাদের প্রথম দুইটি মোটরসাইকেল মডেল আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করেছে। শিগগিরই আরো কিছু বাজারে আসবে।

রানার অটোমোবাইলস লিমিটেডের পরিচালক আমিদ সাকিফ খান বলেন, ‘বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের মোটরসাইকেলের বাজার সমৃদ্ধ হচ্ছে। কেটিএম এই উঠতি বাজারে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিতে পেরে খুশি এবং আগামী দিনগুলিতে মানের নিশ্চয়তা এবং গ্রাহকসেবার অনুকরণীয় প্রদর্শন করার জন্য আন্তরিকভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

অস্ট্রিয়ান মোটরসাইকেল প্রতিষ্ঠান কেটিএম-এর যাত্রা শুরু হয় ১৯৩৪ সালে। কয়েক দশক ধরে মোটরসাইকেল ক্রীড়া শিল্পের অন্যতম প্রধান নাম, কেটিএম তাদের অত্যাধুনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ডিজাইন এবং প্রযুক্তির জন্য স্বীকৃত যাদের বর্তমানে বিশ্বব্যাপী প্রায় তিন হাজার কর্মচারী রয়েছে এবং গ্লোবালি কেটিএম ইউএসএ, কেটিএম ইউকে, কেটিএম ভারত, কেটিএম রাশিয়া, কেটিএম আফ্রিকা এবং কেটিএম এশিয়া নামে কাজ করে যাচ্ছে। পিয়েরের মবিলিটি এজি এবং বাজাজ অটো এই প্রতিষ্ঠানের মূল শেয়ারহোল্ডার।

বাংলাদেশের মোটরসাইকেল ইন্ডাস্ট্রি কমিউটার সেগমেন্ট মডেল তৈরির ব্যাপারে বেশি আগ্রহী, কারণ স্থানীয় বাজারে এমন গ্রাহকদের বেশি ট্র্যাফিক রয়েছে যাদের জন্য মোটরসাইকেল বিলাসিতা নয়, বরং প্রয়োজন। তবে, সাম্প্রতিক সময়ে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাইড এবং লং ট্যুরের সঙ্গী হিসাবে মোটরসাইকেলের জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়ায় এক ধরনের রূপান্তর হয়েছে। বাইক চালকরা এখন টু-হুইলারের প্রযুক্তিগত দিক এবং বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আরও বেশি সচেতন। কেটিএম উভয় দিকের সমন্বয় ঘটিয়ে বাজারে প্রবেশ করেছে। স্বনামধন্য এ প্রতিষ্ঠানটি তাদের শীর্ষস্থানীয় ইঞ্জিনিয়ারিং দক্ষতার পাশাপাশি বাজার-কেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গির সমন্বয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, যার মাধ্যমে পরিপূর্ণভাবে সকল গ্রাহকদের সেবাদান সম্ভব হবে বলে মনে করছে শিল্প সংশ্লিষ্টরা।

(ঢাকাটাইমস/২৬জানুয়ারি/এজেড)