কৃষক-পুলিশ সংঘর্ষে রণক্ষেত্র দিল্লি

প্রকাশ | ২৬ জানুয়ারি ২০২১, ১৬:০৮ | আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২১, ১৬:৩১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে তিনটি কৃষক আইন বাতিলের দাবিতে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে র‌্যালি করেছে কৃষকেরা। তাদের র‌্যালি ভাঙতে পুলিশ কাঁদানো গ্যাস, লাঠিচার্জ করেছে। তবে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে  কৃষকেরা দিল্লির প্রাণকেন্দ্র লালকেল্লায় ট্র্যাক্টর নিয়ে পৌঁছায়। এতে কৃষক-পুলিশ সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় দিল্লি। 

আল জাজিরার খবরে বলা হয়, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ট্র্যাক্টর র‌্যালি পালন করতে শহরের বিভিন্ন উপকণ্ঠ থেকে কৃষকেরা ট্রাক্টর, কার, মাইক্রো এবং ঘোড়ায় করে রাজধানীর লালকেল্লার দিকে এগিয়ে যায়। তাদের হাতে ছিল বিভিন্ন লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড, মুখে ছিল সরকারবিরোধী স্লোগান।

আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, কৃষকদের ট্র্যাক্টর প্যারেড ঘিরে রণক্ষেত্রের রূপ নেয় দিল্লির আইটিও (আয়কর ভবন) চত্বর। পুলিশ লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে কৃষকদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। এতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে কৃষকদের। আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ভাঙচুর চালানো হয়েছে একাধিক বাসে।

খবরে আরও বলা হয়  ট্র্যাক্টর প্যারেডের জন্য নির্দিষ্ট রুটে অনুমতি দিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। ওইসব রুটে ব্যাপক পুলিশি নিরাপত্তার পাশাপাশি ব্যারিকেড তৈরি করে রেখেছিল তারা। কিন্তু প্রতিবাদী কৃষকদের একটি দল সেই রুট এড়িয়ে পৌঁছে যায় আইটিও চত্বরে। সেখানে পৌঁছতেই তাদের বাধা দেয়া হয়, তাতেই শুরু হয় কৃষক-পুলিশ সংঘর্ষ। হাতাহাতি, সংঘর্ষে গোটা এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ বাধ্য হয়ে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। মৃদু লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে আন্দোলনকারীদের। কিন্তু তারপরেও দীর্ঘক্ষণ আইটিও চত্বরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কৃষকেরা। দুপুরের দিকে ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি।

পাঞ্জাবের অমৃতসর শহরের গুর্বাচান সিংহ (৭৩) নামের এক কৃষক  ট্যাক্টর র‌্যালিতে অংশ নিতে তীব্র শীতের মধ্যেও সারারাত ট্রাক্টরে ঘুমান। তিনি বলেন,  ‘সরকার এই আইন প্রণয়ন করেছে, আমরা তাদেরকে এটা বাতিল করতে বাধ্য করবো।’ ট্রাক্টর র‌্যালিকে কৃষকদের একতার শক্তি অভিহিত করে তিনি বলেন, ‘আমরা তখনই বাড়ি ফিরে যাব যখন সরকার এই আইন পরিবর্তন করবে।’

এর আগে আইন নিয়ে সরকার এবং কৃষকদের মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক হলেও সেটা ব্যর্থ হয়। কৃষকেরা ১৮ মাসের জন্য আইন স্থগিতের সরকারি সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে।

ওই কৃষক আরও বলেন, ‘আমরা এই আইন চাই না, কিন্তু সরকার কেন বাধ্য করছে?’ কৃষকদের সম্মতি নিয়ে আইন প্রণয়ন করা উচিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সরকার সেটা করার পরিবর্তে আমাদেরকে বাধ্য করছে।’

(ঢাকাটাইমস/২৬জানুয়ারি/কেআই/জেবি)