ঝিনাইদহে স্বর্ণালঙ্কার ছিনতাইসহ ২০০ বাঁশ কাটার অভিযোগ

ঝিনাইদহে সদর উপজেলার কালীচরণপুর ইউনিয়নের বয়ড়াতলা গ্রামে পূর্বশত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষ। এসময় অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে প্রতিপক্ষদের পিটিয়ে জখমসহ তাদের বাড়ি থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা।

সেইসঙ্গে তারা প্রতিপক্ষের বাড়ির বাঁশঝাড় থেকে ২০০ বাঁশ কেটে দিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী সোহরাব হোসেন।

তার অভিযোগ, একই গ্রামের প্রতিবেশী মোদাচ্ছের শাহের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তার জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে মঙ্গলবার সকালে তার পক্ষের নজরুল ইসলাম, বাদশা বিশ্বাস, আকমল সর্দার, শহীদুল মোল্লা, সবুজ শাহ্, আলীরাজ, সাজনসহ অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জন লোক জোট বেধে দেশীয় অস্ত্রসহ সোহরাব হোসেনের বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে। এসময় মোদাচ্ছের শাহের হুকুমে উল্লেখিত ব্যক্তিরা তাকে গালিগালাজ করতে থাকে। তখন তাদের নিষেধ করলে তারা লাঠিসোটা দিয়ে সোহরাব হোসেন ও তার স্ত্রী সালেহা বেগম, ভাইয়ের বউ আসমা খাতুন, ভাই আবুল কাশেম, ফারুক হোসেন, জিল্লুর রহমানসহ তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের পিটিয়ে জখম করে। এসময় তারা সালেহা বেগম ও আসমা খাতুনের গলায় থাকা দুটি সোনার চেইন ছিনিয়ে নেয় এবং ঘরে ঢুকে বাক্স ভেঙে নগদ টাকা লুট করে। পরে তারা বাঁশঝাড়ে গিয়ে প্রায় ২০০ বাশ কেঁটে নেয়।

এসময় ভুক্তভোগীদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এলে তারা হুমকি দিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় সোহরাব হোসেন ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।

তবে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ না পেলেও ঘটনাটি আমি শুনেছি। তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। দুইপক্ষের পাঁচজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়া, লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৬জানুয়ারি//পিএল)