চসিক নির্বাচনে থাকছে র‌্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট ও বোম ডিসপোজাল টিম

প্রকাশ | ২৭ জানুয়ারি ২০২১, ০১:১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি।

রাত পোহালেই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচন। একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সার্বক্ষণিক প্রতিটি ওয়ার্ডে টহল দলের পাশাপাশি মাঠে থাকছে বিপুলসংখ্যক র‌্যাব সদস্য। তাছাড়া সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি থাকবে র‌্যাবের 'বোম ডিসপোজাল টিম'।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বুধবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএমে ভোটগ্রহণের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কমিশন। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে এই ভোটগ্রহণ চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। সিটি কর্পোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডে মোট ভোট কেন্দ্র ৭৩৫টি। যেখানে ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

এবার মেয়র পদে সাতজন এবং কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন ২২৫ জন। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার দায়িত্বে আছেন প্রায় পাঁচ হাজার কর্মকর্তা আর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ১৪ হাজারের বেশি সদস্য।

র‌্যাবের মুখপাত্র লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ ঢাকাটাইমসকে জানান, সিটি নির্বাচনে যেকোন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য র‌্যাবের একটি বোম ডিসপোজাল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা এড়াতে র‌্যাব-৭ এর গোয়েন্দারা মাঠে কাজ করছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ সিটি নির্বাচন উপলক্ষে র‍্যাব সর্বপ্রস্তুত।

র‌্যাব সদর দপ্তর বলছে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর পাশাপাশি সার্বিক নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবে তারা। 'স্ট্রাইকিং ফোর্স' হিসেবে নির্বাচনের ১০ দিন আগে থেকেই মাঠে দায়িত্ব পালন করছে বাহিনীটি। থাকবে নির্বাচনের পরের দিন পর্যন্ত। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে পুরো সিটি কর্পোরেশন এলাকাকে ৩টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। টহল দলের পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক র‍্যাব সদস্য সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারিও করছে।

বাহিনীটি বলছে, নির্বাচনী এলাকার সামগ্রিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সহায়তা, নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সকলের নিরাপত্তা এবং সুশৃঙ্খলভাবে ভোটগ্রহণের নিশ্চয়তার পাশাপাশি ইভিএম ও ইভিএমের কারিগরি সদস্যদের নিরাপত্তা দিতে প্রতিটি ওয়ার্ডে র‌্যাবের একটি করে টহল দল থাকবে। নির্বাচনে মোট ৪১টি টহল দল তাদের দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া ২টি টহল দল একত্রে দুইটি ওয়ার্ডে আধিপত্য বিস্তার করবে এবং সাতটি 'রিজার্ভ টহল' মোতায়েন থাকবে। জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটদের পাশাপাশি র‍্যাবের ম্যাজিস্ট্রেটরাও মাঠে কাজ করবে।

(ঢাকাটাইমস/২৭জানুয়ারি/এসএস/এলএ)