ভোট ডাকাতি হচ্ছে, তবুও মাঠ ছাড়ছি না: শাহাদাত

চট্টগ্রাম ব্যুরো, ঢাকাটাইস
| আপডেট : ২৭ জানুয়ারি ২০২১, ০৯:৫৩ | প্রকাশিত : ২৭ জানুয়ারি ২০২১, ০৯:৪৫

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কেন্দ্র দখল, এজেন্টদের মারপিট ও ভোট ডাকাতির অভিযোগ এনেছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। তবে যত বিশৃঙ্খলাই হোক, তিনি মাঝপথে ভোটের মাঠ ছেড়ে যাবেন না বলে জানিয়েছেন।

বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কেন্দ্র পরিদর্শন করতে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ তুলে ধরেন। শাহাদাত হোসেন বলেন, নগরীর খুলশী, চানগাঁও, বাকলিয়ায় আমাদের এজেন্টদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে গোলাগুলিতে ৩ তিন কর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এমনকি আমাদের নারী কর্মীদের গায়েও হাত তোলা হয়েছে।

ধানের শীষের এই প্রার্থী অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার রাত থেকেই ভোটকেন্দ্র দখলের পায়তারা চলছে। প্রশাসনের ভূমিকা দেখে মনে হচ্ছে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচন হচ্ছে না। আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা যেন রাষ্ট্রযন্ত্রের সঙ্গে। কোনো রকম বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে প্রশাসন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডা. শাহাদত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি ৩৫ বছর ধরে রাজনীতি করে আসছি। মাঝপথে ভোট থেকে সরে যাবো না। বরং আওয়ামী লীগের বেহায়াপনা ও ভোট ডাকাতির চিত্র বিশ্বকে দেখিয়ে দেব।

এর আগে বুধবার সকাল ৮টায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) মাধ্যমে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

এবার মেয়র পদে সাতজন এবং কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন ২২৫ জন। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার দায়িত্বে আছেন প্রায় পাঁচ হাজার কর্মকর্তা আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৪ হাজারের বেশি সদস্য। সবমিলিয়ে ভোটের মধ্যে থাকবেন সাড়ে ১৯ লাখের বেশি মানুষ।

মেয়র পদে লড়ছেন আওয়ামী লীগ-সমর্থিত রেজাউল করিম চৌধুরী। আর বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। গত বছরের ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটিতে ভোট হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় আট দিন আগে তা স্থগিত করা হয়। এর প্রায় দশ মাস বন্দরনগরীতে ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

দেশের এই বাণিজ্যিক শহরে ভোটার আছেন মোট ১৯ লাখ ৩০ হাজার ৭০৬ জন। মোট ৭৩৫টি কেন্দ্রে ইভিএমে এই ভোটগ্রহণ করা হবে। সে হিসেবে প্রতি কেন্দ্রে ভোটার ও বিভিন্ন দায়িত্বে থাকা কর্মীদের মিলিয়ে গড়ে প্রায় ২৬০০ মানুষের উপস্থিতি ঘটবে আট ঘণ্টায়। ৭৩৫ কেন্দ্রের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ৪২৯টি কেন্দ্রকে।

(ঢাকাটাইমস/২৭জানুয়ারি/কেআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বন্দর নগরী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা