আট আনায় পুরি, এক টাকায় পেঁয়াজু

প্রকাশ | ২৭ জানুয়ারি ২০২১, ১১:০৬

কাজী রফিক, ঢাকাটাইমস

রাজধানীর মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে বসিলার রাস্তা ধরে প্রায় ১২ কিলোমিটার গেলে সবুজে ঘেরা কেরানীগঞ্জ উপজেলার কলাতিয়া বাজার।

কলাতিয়া বাজারে পৌঁছে ব্রিজের পাশ দিয়ে মূল বাজারে খানিকটা ঢুকলেই কড়ই গাছের ছায়াতলে মানিক ভাণ্ডারির খাবার হোটেল।

এই হোটেলে মিলছে আট আনায় পুরি আর এক টাকায় পেঁয়াজু। শায়েস্তা খানের যুগে চার আনা ও আট আনায় পাওয়া যেত অনেক কিছু। এ যুগে সেটি কেবল গল্পই। ২০২১ সালে এসে আট আনায় কিছু পেতে শায়েস্তা খানের যুগে ফিরে যেতে হবে না। এখনো আট আনায় কিছু বিক্রি করা সম্ভব তার প্রমাণ দিয়ে চলেছেন মানিক ভাণ্ডারি।

দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে আট আনায় পুরি বিক্রি করে চলেছেন তিনি। সময়ের খাতায় ২৭ বছর পার হলেও মানিক ভান্ডারির পুরির দাম রয়ে গেছে আগের জায়গায়ই। তবে ছোট হয়েছে পুরি-পেঁয়াজুর আকার।

কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের পাশাপাশি ঢাকার নানান জায়গা থেকে প্রতিদিন মানুষ ভিড় করছে মানিক ভাণ্ডারির হোটেলে।

হোটেলে এসে বিশেষ এই পুরি, পেঁয়াজুর স্বাদ নেন। যাওয়ার সময় পরিবার-পরিজনের জন্য পুরি–পেয়াজে নিয়ে যেতে ভুল হয় না কারো। পাশাপাশি কেউ কেউ অর্ডার করেন মুঠোফোনেও।

সকালে অন্য দশটা হোটেলের মত নাস্তা বিক্রি হয় মানিক ভান্ডারির হোটেলে। প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে সাড়ে সাতটার মধ্যে গেলে পাওয়া যায় আট আনার পুরি, এক টাকার পেঁয়াজু। তবে একটু দেড়ি করে গেলে ফিরে আসতে হতে পারে বিশেষ এ পুরি-পেয়াজুর স্বাদ না নিয়েই।

(ঢাকাটাইমস/২৭জানুয়ারি/কেআর/এজেড)