একাই লড়ে যাবো আমি অদম্য আসিফ আকবর

আসিফ আকবর
 | প্রকাশিত : ২৭ জানুয়ারি ২০২১, ১৪:৫৪

আমার নিজের কণ্ঠে গাওয়া কিছু গান গীতিকার-সুরকার তাদের নিজের নামে কপিরাইট করতে চেয়েছেন। আমিও সবাইকে বলেছি যার যার গান নিজের নামে কপিরাইট করে নিতে। এমনকি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সাউন্ডটেকও বলেছে সেইম কথা। রাজেশ’দা প্রদীপ’দা তাদের নিজেদের গান কপিরাইট করতে চাইলে আমার কাছে চিঠি আসে সত্যতা যাচাই করার জন্য। আমি কপিরাইট অফিসকে বলে দিয়েছি তারা সহি সুরকার-গীতিকার। একই সময়ে শফিক তুহীনের লেখা গানগুলোর কপিরাইটের চিঠিও এসেছে, সম্ভবত তারা তিনজন এক সঙ্গেই কপিরাইটের দরখাস্ত করেছে।

শফিক তুহীনের ব্যাপারে আমি অনাস্থা জানিয়েছি স্শরীরে শুনানিতে হাজির হয়ে। কারণ তার লেখা আনঅথরাইজড গানগুলোকে পুঁজি করেই সে মামলা করেছে। সেই গানগুলো নিয়েই সেদিন মুখোমুখি শুনানি ছিল, শফিক তুহীন আসেনি। কপিরাইটের লোক ধানাইপানাই করে বললো তাকে নাকি চিঠিই পাঠানো হয়নি। অথচ আমি চিঠি পেলাম, গেলামও। তাহলে আবেদনকারী কি কারণে আসলো না? এই উত্তর কপিরাইট অফিস দেয়নি।

কপিরাইটের অঙ্গীকারনামায় যেকোনো আদালতে বিচারাধীন গানের স্বত্ব নিয়ে আইনি বিধিবিধান আছে। আমাকে সাজানো মামলা দিয়ে জেলে পাঠানোর পর শফিক তুহীন কপিরাইটের আপিল করেছে, যেটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। সাত মাস অপেক্ষার পর কপিরাইট অফিস শফিক তুহীনের পক্ষে রায় দিয়েছে। এই রায়ের কপি আমি নিজের ইন্টারেস্টে চেয়ে নিয়েছি দু’মাস পর, তারা পাঠায়নি। তিন মাসের মধ্যে আপিল না করলে আমার বিপরীতে যাবে ফলাফল।

কপিরাইট অফিসের আগের রেকর্ডে এ ধরনের আপিলের রেজাল্টও আমার আইনজীবীর কাছে আছে। শফিক তুহীনকে অবৈধ সুবিধা দিয়েছে কপিরাইট অফিস, আমাকে না জানিয়ে আরো বড় অপরাধ করেছে তারা। শেষ পর্যন্ত আমি আপিল করার জন্য স্বল্প সময় পেয়েছি এবং ব্যারিস্টার সালেহ আকরাম সম্রাটের মাধ্যমে সবিনয়ে অফিসিয়ালি আপিল করেছি ন্যায়বিচারের আশায়।

আইন সবার জন্য সবসময় একই হওয়া সংবিধানের শপথ। কপিরাইট অফিস তাদের দায়িত্ব ভুলে গিয়ে পক্ষপাতিত্ব করেছে। তাদের ইচ্ছানুযায়ী সুবিধামতো চিঠি আসে কিংবা আসে না। একেক সময় একেক ধরনের এটিচুড কপিরাইট অফিসকে বিতর্কিত করেছে বারবার। আমার সাথে তো অবিচার করেছে প্রথম সাক্ষাতেই। এবার সর্বগ্রাসী রাক্ষসের মুখোমুখি হতেই হচ্ছে অনিচ্ছা সত্ত্বেও। তাদের এত শক্তি কোথা থেকে আসে বুঝি না। রাষ্ট্রের শপথের প্রতি অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েও আইন অমান্য করে তারা কীভাবে সুবিধা পায়! আমি গানের গায়ক, এতই অপাঙক্তেয় হয়ে গেলাম! কেউ আইনের তোয়াক্কাই করবে না!

একটা দায়িত্বশীল সরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের স্বেচ্ছাচারী চালচলনে আমার অস্তিত্বকে অস্বীকার করার সাহস পায় কীভাবে! কপিরাইট অফিস যদি গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়ায় অবশ্যই সেই দড়ি টেনে ছিঁড়ে ফেলবো। রাষ্ট্রের স্বীকৃত নাগরিক হিসেবে ন্যায়বিচার ছিনিয়ে আনবো ইনশাআল্লাহ, সময়টা আজ অথবা কাল। কোনো ব্যক্তির ছড়ি ঘুরানোতে আইনের অপপ্রয়োগ চলবে না, হতে দেবো না। প্রয়োজনে এই বিলাসবহুল কপিরাইট অফিসের জরাজীর্ সিদ্ধান্তগুলোর বিরুদ্ধে একাই লড়ে যাবো আমি অদম্য আসিফ আকবর।

সাধু সাবধান, আইন অনুযায়ী ন্যায়বিচার করুন, শান্তিতে থাকুন শান্তিতে রাখুন। কপিরাইট অফিস কারো বাপ-দাদার সম্পত্তি নয়। এ ধরনের ধান্দা থাকলে প্রতিষেধক হিসেবে বারবার আমি সামনে আসবো, আসতেই থাকবো জীবন্ত অগ্নিগিরির উত্তপ্ত লাভার মতো। আজকের এই লেখাটা এক ধরনের সিভিল জার্নালিজম, যখন স্বাভাবিক জার্নালিজম কোমায় যায় তখন এই সিভিল জার্নালিজম জেগে ওঠে ফিনিক্স পাখির মতো।

লেখক: কণ্ঠশিল্পী

ঢাকাটাইমস/২৭জানুয়ারি/এসকেএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফেসবুক কর্নার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :