ছিপ তৈরিতেই বাড়তি রোজগার

মনোনেশ দাস, ময়মনসিংহ
| আপডেট : ২৮ জানুয়ারি ২০২১, ১৫:০২ | প্রকাশিত : ২৮ জানুয়ারি ২০২১, ১৪:৪৫

বড়শি দিয়ে মাছ শিকারের প্রধান উপকরণ ছিপ। এটি তৈরি করে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার একটি গ্রামের অনেক পরিবার এখন স্বাবলম্বী। গ্রামটির নারী-পুরুষ এমনকি শিক্ষার্থীরাও এ কাজটি করে সংসারে বাড়তি আয়ের চেষ্টা করছেন।

উপজেলার মানকোন ইউনিয়নের বাদে মাঝিরা গ্রামের কারিগররা চাষাবাদ, পশুপালন, গৃহস্থালী কাজ এবং পড়াশোনার পাশাপাশি এই কাজ করছে একটু বাড়তি রোজগারের আশায়। ছিপ শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে এই গ্রামের অন্তত তিন শতাধিক পরিবার জড়িত।বস্তুত এই গ্রামের প্রায় সকল মানুষই কোনও না কোনওভাবে ছিপ তৈরি ও বিক্রির কাজে যুক্ত । বংশ পরম্পরায় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে হাতে-কলমের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে প্রতিদিন জনপ্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত পারিশ্রমিক পাচ্ছেন তারা। ছিপ তৈরি করে সরাসরিও বিপণন করছেন অনেকে। এখানকার তৈরি ছিপ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায়ও সরবরাহ করা হয়। উত্তরবঙ্গে এই ছিপের চাহিদা ব্যাপক ।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সিলেটের সুনামগঞ্জ থেকে ছিপ তৈরির কঞ্চে বাঁশ ক্রয় করে আনেন তারা। এরপর বাঁশ চেছে, ছেক দিয়ে আকা-বাঁকা সোজা করা হয়।

ছিপের বাঁশ চাছার কাজে যুক্ত গৃহবধূ খাদিজা, হাসিনা, শারমিন, নাসিমা, তানজিলা ও স্কুল ছাত্রী রুবি জানান, সংসারের অন্যান্য কাজের পাশাপাশি ছিপ চাছার কাজে ব্যস্ত থাকেন তারা। প্রতিটি বাঁশ চেছে মজুরি পান এক টাকা করে। প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ বাঁশ চাছা যায়।

ছিপের বাঁশ আগুনে ছেকে সোজা করার কাজে যুক্ত রুবেল, শরাফত, কালু মিয়া জানান, প্রতিটি ছিপ তৈরি করে মজুরি পাওয়া যায় আট থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত ।

বাঁশ ক্রয় ও ছিপ বিক্রির পাইকার আমিনুল ইসলাম জানান, শত বছর ধরে বংশ পরম্পরায় এই গ্রামে টিকে আছে শিল্পটি। সারাবছর এখানকার তৈরি ছিপের চাহিদা থাকলেও আষাঢ়, শ্রাবণ ও ভাদ্র মাস এর ভরা মৌসুম। সারাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকাররা এসে এই গ্রাম থেকে ছিপ কিনে নিয়ে যান।

(ঢাকাটাইমস/২৭জানুয়ারি/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :