পর্যটক স্বল্পতায় মাধবকুণ্ড

করোনার কারণে দীর্ঘদিন নিষিদ্ধ থাকার পর গত ১ নভেম্বর স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয় মৌলভীবাজারের বড়লেখার মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত ও ইকোপার্ক। তবে, আগের মতো তেমন একটা পর্যটকের দেখা মিলছে না দেশের সর্ববৃহৎ এই জলপ্রপাতে। প্রতিদিন সীমিত কিছু মানুষ মাধবকুণ্ডে ভ্রমনে আসছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, করোনার আগে যেখানে পর্যটকের আনাগোনায় মুখরিত থাকতো মাধবকুণ্ডের আশপাশ। সেখানে অল্প কিছু সংখ্যক পর্যটক ঘুরাফেরা করছেন। চার-পাঁচজন করে আসছেন আবার কিছু সময় থেকে চলে যাচ্ছেন। প্রকৃতির টানে যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটকের সমাগম ঘটতো সেখানে গুটিকয়েক পর্যটকের বিচরণ ঘটেছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই স্থানীয় পর্যটক। অল্প কিছু পর্যটক এসেছেন দেশের অন্যান্য স্থান থেকে।

বন বিভাগ জানায়, দেশের সর্ববৃহৎ জলপ্রপাত মাধবকুণ্ডে অন্যান্য বছরের এই সময়ে প্রতিদিন বিশ থেকে বাইশ হাজার পর্যটকের আগমন ঘটত। দূর-দুরান্ত থেকে পর্যটকেরা মাধবকুণ্ড ভ্রমণে আসতেন। কিন্তু করোনার কারণে পর্যটকের সংখ্যা একেবারে কমে গেছে। এখন গড়ে প্রতিদিন পাঁচ থেকে ছয়শত পর্যটক মাধবকুণ্ড ভ্রমণে আসছেন। কোন কোন দিন মাত্র দুই থেকে আড়াইশ পর্যটকও আসছেন। তবে সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় শুক্র ও শনিবারে পর্যটকের সংখ্যা কিছুটা বেশি থাকে।

এদিকে, আশানুরুপ পর্যটক না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

তারা বলছেন, ‘দীর্ঘদিন পর মাধবকুণ্ড খুলে দেওয়া হলেও তেমন একটা পর্যটক আসছেন না। যার ফলে বেচা-কেনা কম। এভাবে থাকলে ব্যবসায় তালা মেরে বাড়িতে চলে যেতে হবে।’

স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে মাধবকুণ্ড ভ্রমনের অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

কবির আহমদ নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর মাধবকুণ্ড খুলে দেওয়া হলেও পর্যটকরা তেমন বেড়াতে আসছেন না। যার ফলে আশানুরুপ ব্যবসা হচ্ছে না। তাই, আমাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।’

মাধবকুণ্ড পর্যটন পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ভানু লাল রায় বলেন, ‘করোনার কারণে পর্যটকের সংখ্যা তুলনামুলক কম। তবে যারাই আসছে তারা যেনো স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘুরাফেরা করে, সে বিষয়টা নিশ্চিতে আমরা কাজ করছি। মাস্ক ছাড়া আমরা কাউকে প্রবেশ করতে দিচ্ছি না।

বন বিভাগের বড়লেখা রেঞ্জের সহযোগী রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখ রঞ্জন দাস জানান, করোনার কারণে এবার মাধবকুণ্ডে পর্যটক সংখ্যা কম। আগে প্রতিদিন যেখানে হাজার হাজার পর্যটকে মুখরিত থাকত মাধবকুণ্ড। এখন সেখানে পর্যটকের সংখ্যা শতকের কোটায় নেমে গেছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকেরা আসছেন না। তবে,পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে জানান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/২৮জানুয়ারি/পিএল)