জাপার সাবেক সাংসদ শওকত চৌধুরীর বিএনপিতে যোগদান

প্রকাশ | ২৮ জানুয়ারি ২০২১, ১৭:২৭

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে ফুল দিয়ে তাদের দলে যোগ দিলেন জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচিত নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আসনের সাবেক সাংসদ শওকত চৌধুরী। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই যোগদান অনুষ্ঠান হয়।

এসময় শওকত চৌধুরী বলেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি ও স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের হাত ধরেই আমার রাজনীতিতে যাত্রা শুরু। মাঝে মনোমালিন্যের কারণে জাতীয়তাবাদী রাজনীতি থেকে দূরে ছিলাম। এখন আবার খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপির কর্মী বিএনপিতেই ফিরে এলাম। দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য, বিগত দিনে যে গণতন্ত্র ছিল, সেই গণতন্ত্রকে পুনরায় ফিরিয়ে আনার জন্যই আমি এই দলে যোগ দিলাম।’

অনুষ্ঠানে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘সংগঠনের বিকল্প কিছু নেই। সংগঠন থাকলেই আপনি আন্দোলনে সফল হতে পারবেন, সংগঠন থাকলে আপনি নির্বাচনে সফল হতে পারবেন। এই বিষয়টা মনে রাখতে হবে।’

অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন- জেলা আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সামসুল আলম, সদস্য ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, শফিকুল ইসলাম জনি,বিএনপি কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, রংপুর বিভাগ সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, জাসাসের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি লায়ন সিরাজুল ইসলাম বিদ্যুৎ প্রমুখ।

এদিকে, শওকত চৌধুরীর বিএনপিতে যোগদানের খবরে সৈয়দপুর জুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। অনেকে মনে করছেন, ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে এসেছে। তার হাত ধরে সৈয়দপুর বিএনপি আবারও শক্তিশালী হবে এবং তাকে মনোনয়ন দেয়ার মাধ্যমে মেয়র পদটিও বিএনপি'র হাতে থাকবে।

আবার অনেকে বলছেন, দ্বিধাবিভক্ত জেলা বিএনপি'র যে অংশটি আমজাদ হোসেন সরকারের অনুসারী ছিল বা যারা দীর্ঘ দিন সৈয়দপুর বিএনপি'র জন্য নিবেদিত প্রাণ হয়ে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে দলকে সুসংগঠিত রাখতে অবদান রেখেছেন। তারা দলের নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে এবং এতে দ্বন্দ্ব জিইয়ে থাকবে। এতে দল আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ জানুয়ারি সৈয়দপুর পৌরসভার নির্বাচনের দুই দিন আগে বর্তমান মেয়র, জেলা বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন সরকার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর প্রেক্ষিতে বিএনপি'র হাল ধরতে এবং বিএনপি'র ঘাটি হিসেবে পরিচিত সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র পদটি ধরে রাখতে প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আসেন শওকত চৌধুরী। তারই ধারাবাহিকতায় বিএনপিতে তার এ যোগদান।

শওকত চৌধুরী ছাত্রদলের মাধ্যমে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। পরবর্তীতে তিনি ১৩ বছর সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। পরে জাতীয় পার্টির মনোনয়নে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন এবং বিরোধী দলীয় হুইপ হন। কিন্তু দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন না পেয়ে জাপা'র সকল পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

(ঢাকাটাইমস/২৮জানুয়ারি/পিএল)