‘বিদেশে উচ্চশিক্ষা অর্জন করা কওমি শিক্ষার্থীদের অধিকার’

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
 | প্রকাশিত : ২৯ জানুয়ারি ২০২১, ১৬:৩৪

বিদেশে উচ্চশিক্ষা অর্জন করা প্রতিটি কওমি শিক্ষার্থীদের অধিকার। রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদেরকে বিদেশে উচ্চশিক্ষার বৈধ পথ ও পন্থা তৈরি দেয়া সবার দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সংসদ সদস্য ড. প্রফেসর আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী।

বাংলাদেশে কওমি শিক্ষার্থীদের বিদেশে উচ্চশিক্ষার সমস্যার সমাধান নিয়ে মুসলিম ইয়ুথ সার্কেলের সেমিনারে তিনি এই মন্তব্য করেন। অন্যান্য বক্তাদের কথায়ও উঠে এসেছে একই মত।

রাজধানী ঢাকার ফকিরাপুলের হোটেল রাহমানিয়া রুফটপ রেস্টুরেন্টে বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) দিনব্যাপী এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

মাদ্রাসা দারুর রাশাদের প্রিন্সিপাল মাওলানা মুহাম্মদ সালমানের সভাপতিত্বে ও মুসলিম ইউ সার্কেলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মোহাম্মদ মনযূরুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন সাংসদ ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী।

সরকারি দলের এই সাংসদ তার বক্তব্যে বলেন, ‘কওমি মাদরাসার জন্য কওমি বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার প্রয়োজন আছে। এটা নিয়েও আমি কাজ করবো ইনশাআল্লাহ। কওমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য কওমি ছাত্রদের যেতে আরও সহজ হবে। তবে কওমি বিশ্ববিদ্যালয় না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়টি কীভাবে হতে পারে তা আমরা খুব দ্রুতই দেখবো।’ সে ক্ষেত্রে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার সম্মিলিত শিক্ষা সংস্থা আল হাইআতুল উলয়ার অধীনে অনুমোদন হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

আবু রেজা নদভী বলেন আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘মুসলিম ইয়ুথ সার্কেল যদি আল হাইআর অধীনে ওয়ার্কিং প্ল্যান করে এ বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা দরকার হলে আমার পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা থাকবে।’

সাংসদ বলেন, ‘কওমি মাদ্রাসার সার্টিফিকেট দিয়ে অবশ্যই সরকারি বেশকিছু জায়গায় চাকরি করা সম্ভব। বিশেষ করে দারুল আরকাম, সরকারি মসজিদ কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন পর্যায়ে দাওরায়ে হাদিসের সনদ দিয়ে চাকরি নেয়া সম্ভব।’

সেমিনারে প্রধান আলোচক ছিলেন ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ। স্বাগত বক্তব্য দেন মুসলিম ইয়ুথ সার্কেলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মুহাম্মদ বদরুজ্জামান। সেমিনারে বিশেষ ছয়টি দাবিসহ মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন মুসলিম ইয়ুথ সার্কেলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মাওলানা সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর। আয়োজকদের মধ্যে ব্যবস্থাপনার সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন মুহাম্মদ এহসান সিরাজ, হাছিব আর রহমান, নাজমুল ইসলাম কাসিমী ও রোকন রাইয়ান।

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত কওমী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিদেশে উচ্চ শিক্ষায় আগ্রহীদের নিয়ে বিশেষ এ সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রায় দেড়শ কওমি শিক্ষার্থী ও দায়িত্বশীল পর্যায়ের অনেক কওমি শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বেফাকুল মাদারিসিলি আরাবিয়া বাংলাদেশ এর সহ-সভাপতি মাওলানা মুসলেহ উদ্দীন রাজু, জাতীয় দীনি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের মহাসচিব মুফতি মুহাম্মদ আলী।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও ছিলেন দাতব্য সংস্থা মারকাযুল ইসলামির চেয়ারম্যান মাওলানা হামজা ইসলাম, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সমন্বয়ক অধ্যক্ষ সৈয়দ রেজওয়ান আহমদ, আহছানিয়া ইনস্টিটিউট অব সুফিজমের সহকারী অধ্যাপক শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী, জামিয়া মাদানিয়া যাত্রাবাড়ির দাওয়া বিভাগের মুশরিফ মাওলানা আবু নোমান আল-মাদানী, ইসলামিক ল রিসার্চ অ্যান্ড লিগ্যাল এইড সেন্টার এর নির্বাহী পরিচালক শহীদুল ইসলাম, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের পরিচালক ড. মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ, সাইফুরসের প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর সাইফুর রহমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের মুহাদ্দিস মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান, দ্বীনিয়াত বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মুফতী সালমান আহমদ প্রমূখ।

(ঢাকাটাইমস/২৯জানুয়ারি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ইসলাম বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :