জ্বলে যাবো, জ্বালিয়েও যাবো: আসিফ
এদেশের গীতিকার সুরকার শিল্পীদের উচিত একটা বিষয় নিশ্চিত করা। তাদের ঘোষণা দিতে হবে, ভবিষ্যতে আর কখনো রয়্যালিটি ছাড়া এককালীন গান বিক্রি করবে না। পুরনো গানের রয়্যালিটি উদ্ধারের পাশাপাশি নতুন গানও একই নিয়মে প্রকাশিত হবে।
এই ঘোষণা দেয়ার ক্ষমতা বাংলাদেশের গীতিকবি, সুরকার, শিল্পী সংঘের নেই। এসব জেনেই বলছি, দৌড়াদৌড়ি বন্ধ করে আবারো উটপাখী হয়ে যান আপনারা। সভা সেমিনার ডিজিটাল ননডিজিটাল চৌকিদারীর ফাঁকে ফাঁকে বাস্তবতা উপলদ্ধি করুন।
আমি কেন ঝামেলায় পড়ি বারবার, কেন শুধু আমার সাথেই ক্যাচাল লাগে! আর সবাইতো ভালোই আছে! এদেশের মানুষ বোবা হয়েছে আরো আগে, আর শিল্পীরা হয়েছে তৈল মর্দনকারীদের আইকনিক মডেল।
কোথায় যুদ্ধকালীন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ভুমিকা, আর কোথায় স্বাধীন বাংলার বর্তমান প্রজন্মের ভুমিকা। কেউ কোনও অন্যায়ের প্রতিবাদ করে না, পাছে কর্তাদের বিরাগভাজন না হয়ে যায়। তাদের সব খেতে হবে, সব সুবিধা পেতে হবে বিনাযুদ্ধে। ফর্মূলা একটাই- তৈল মর্দন করো বৎসরা।
আমি বোবা না, তাই বন্ধুকে শত্রু হিসেবে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। আমি নপুংসক না, আবার চতুর্থ লিঙ্গের আইটেম হিসেবে সুবিধাভোগীদের দলেও নেই এই এক জীবনে। ঘোষণা আসুক শিল্পীসমাজ থেকে, তারা বলুক আমরা কখনো রয়্যালিটি ছাড়া আর একটি গানও লিখবো না, সুর করবো না, গাইবো না।
আফসোস এই ক্ষমতা এই দেশের সেলফিবাজ প্রচারবাজ তৈলবাজ সংগীতকর্মীদের পক্ষে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব নয়। আমিই কথা বলবো, মামলা আমার বিরুদ্ধেই হবে আর এটাই আমার অর্জন। সব সেরাগন নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করুন দেশের মানুষের সামনে।
অলিগলি আমিও চিনি। সমস্যা হলো ওই সমস্ত কানাগলির পথিকরা আমার আগুনের আলো সহ্য করার ক্ষমতা রাখে না, যোগ্যতাও নেই। প্রয়োজনে জ্বলে যাবো, সঙ্গে জ্বালিয়েও যাবো ইনশাআল্লাহ।
গায়ক আসিফ আকবরের ফেসবুক পেজ থেকে
ঢাকাটাইমস/০১ফেব্রুয়ারি/এএইচ