উপেক্ষার বিজয় উদযাপন

প্রকাশ | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৩:৪৬

ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া

আমার তখন অনেক কথা বলার ছিলো

বললে তুমি, কিচ্ছু আমি শুনবো না-তা,

অগত্যা মন মনের কথা গুটিয়ে নিলো

কাব্যরসে ভরলো তুলে খেদের  খাতা।

মনের কথা লিখলো মনের ভাষা খুলে

প্রজাপতি শব্দরা সব  মেললো পাখা,

বললো ওরা, বুক জড়াবে প্রেমের ফুলে

পরিয়ে  দেবে পরাগ রেণুর  কাঁকন শাঁখা।

কিন্তু তুমি  কুঁড়ির বাঁধন খুললে না যে

সকল সুবাস গোপন  করে  থাকলে দ্বিধায়,

রইলে রাঙা  লাজুক ভাবের  কন্যা  সেজে

যোগ বিয়োগের  মহাজনির মুসাবিদায়।

রাজ্য  খুঁজে  পেলাম শেষে  মনের কোণে,

ভাবলাম আমি,আমার মনেই তোমার বাসা,

মনের কানও আবোল তাবোল প্রশ্ন শুনে

জবাব দিয়ে গুলিয়ে দিলো ভাবের  ভাষা।

মন চাওয়া কি বারণ নাকি এই আকালে!

এক  ঘাটেতো ভিড়তে হবে তোমার খেয়া?

সে-ঘাট যদি মিলতো আমার এই কপালে

তুমিই হতে  চাঁপা  পারুল  কদম কেয়া।

পাড়ের  কড়ি লাগবে কেনো আমার ঘাটে?

এই  ঘাটেতো সব নোঙ্গরই তোমার দেয়া,

রূপোর কড়ি গুঁটিয়ে  রাখো শক্ত গাঁটে

তোমার দেখাই চুকিয়ে দেবে  সব  বকেয়া।

আলতো চালে আঁকবে তোমার পায়ের  রেখা

কূলে  কূলে পেতে  রাখা  পাটাতনে,

কাজলা  জলে চলবে  প্রেমের  কাব্য লেখা

প্রচার হবে  রহস্যময় বিজ্ঞাপনে।

হয়তো  এখন বদলে  গেছে  মনের মতি

শখের দেশে হাসছো  মোহের সুখের ঘরে,

ঘোরের গুহার  ঝিকিমিকি তেলেসমতি;

পরীর ডানায় দিচ্ছো পাড়ি  তেপান্তরে।

পেরিয়ে তুমি  সব পেয়েছির  শেষ  সীমানা

ভোগের মাঝেই  ভুগছো জানি হারের যা-স্বাদ; 

প্রেমের জন্যে ভুগছি  আমি  যে-যন্ত্রনা

জগত জোড়া তাতেই  হবো প্রেমের প্রবাদ।

উপেক্ষাতে যে যতোটা  যন্ত্রনা সয়,

সেই হারে হয় উদযাপিত প্রেমের বিজয়।