ধর্ষণ ও মদপানে শিক্ষার্থীর মৃত্যু, দুজনকে খুঁজছে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৭:৪৬ | প্রকাশিত : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৬:২১
ফাইল ছবি

রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দুজনকে খুঁজছে পুলিশ। তারা ঘটনার দিন উত্তরার 'ব্যাম্বু শ্যুটস' রেস্টুরেন্টে একসঙ্গে মদপান করেছিলেন। পুলিশ বলছে, তাদেরকে পাওয়া গেলে ঘটনার অনেক রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।

জানা যায়, গত শুক্রবার বিকালে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ওই শিক্ষার্থী তার বয়ফ্রেন্ড মর্তুজা রায়হান চৌধুরীসহ পাঁচজন উত্তরার 'ব্যাম্বু শ্যুটস' রেস্টুরেন্টে যান এবং মদপান করেন। এসময় তাদের এক বান্ধবী মদপানে অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি ও তার বন্ধুকে উবারের একটি গাড়িতে তুলে দেয়া হয়। রেস্টুরেন্টে অবস্থানের সময় ওই ছাত্রীও অসুস্থতা বোধ করেন। পরে তাকে নিয়ে আসা হয় মোহাম্মদপুর এলাকায় তাফসির নামে তাদের এক বন্ধুর বাসায়। এটি মোহাম্মাদীয়া হোমস লিমিটেডের তিনতলার একটি ফ্ল্যাট।

পরদিন (২৯ ডিসেম্বর) ওই বন্ধুর বাসায় থাকাকালে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন তার বয়ফ্রেন্ড মর্তুজা রায়হান। এতে তিনি আরও অসুস্থতা বোধ করলে গভীর রাতে তাকে প্রথমে নেয়া হয় কল্যাণপুরের ইবনে সিনা হাসপাতালে। সেখানে লাইফ সাপোর্টের ব্যবস্থা না থাকায় নেয়া হয় ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার দুপুরে মৃত্যু হয় ওই শিক্ষার্থীর।

শনিবার ওই শিক্ষার্থীর অসুস্থতার কথা পরিবারকে জানান তার বয়ফ্রেন্ড রায়হান। এসময় তার বাবা (শিক্ষার্থীর) চট্টগ্রাম থেকে আসেন এবং মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন। সে সময় ওই শিক্ষার্থী আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

এদিকে মামলার এজাহারে থাকা তিন নম্বর আসামি আরাফাত মামলার আগের দিন (৩০ ডিসেম্বর) মোহাম্মদপুর সিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এবং অনেক গোপনীয়তার সঙ্গে হাসপাতাল থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। যা পুলিশ রবিবার বিকালে জানতে পেরেছে। মেয়ে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠলেও সোহরাওয়ার্দীর ফরেনসিক বিভাগ ময়নাতদন্তের পর প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে, ওই ছাত্রীর সঙ্গে জোরপূর্বক যৌনসঙ্গমের আলামত পাওয়া যায়নি। তবে ফরেনসিক রিপোর্ট পেতে একমাস লাগতে পারে। এরপরই বোঝা যাবে বিষাক্ত মদ পানে নাকি অতিরিক্ত মদপানে তার মৃত্যু হয়েছে।

মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ বলছে, নিহতের বাবার করা মামলায় নেহা ও তার বন্ধুকে (অজ্ঞাত) পাওয়া গেলে ঘটনার দিনের অনেক তথ্য পাওয়া যাবে। এছাড়া ঘটনার দিনে রেস্টুরেন্টের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা করছে পুলিশ।

(ঢাকাটাইমস/০১ফেব্রুয়ারি/এসএস/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

পালিয়ে আসা সেনাসহ ২৮৮ জনকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠাল বিজিবি

উপজেলা নির্বাচনের প্রচারে এমপি নামলে ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর

‘মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে নেমে পরিবহন চাদাঁবাজরা সরকারের আস্থাভাজন হতে চায়’

রানা প্লাজা ধসের ১১ বছরেও ক্ষতিপূরণ পাননি, কাঁদলেন শ্রমিকরা

৬ বছরে ঈদ যাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৬৭৪, আহত ৪৭৬৫

হজযাত্রীর ভোগান্তি হলে এজেন্সির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা: ধর্মমন্ত্রী

নির্মাণাধীন ভবনে লার্ভা পেলেই কাজ বন্ধ: মেয়র তাপস 

সুষ্ঠু ভোট করতে প্রশাসনের উচ্চপদস্থদের সঙ্গে ইসির বৈঠক রবিবার

থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা

মিয়ানমারে কারাভোগ শেষে ফিরলেন ১৭৩ বাংলাদেশি

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :