‘অনিরাপদ খাদ্যে ভয়াবহ হুমকিতে প্রজন্ম’

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
| আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৬:২৭ | প্রকাশিত : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৬:২২

অনিরাপদ খাদ্য গ্রহণ অব্যহত থাকলে ভবিষ্যত প্রজন্ম কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় উৎপাদনশীল ক্ষমতা অর্জনে ব্যর্থ হয়ে আগামীতে জাতি হিসেবে আমরা মারাত্মক সমস্যায় পড়বো। ভয়াবহ হুমকিতে পড়বে প্রজন্মের উৎপাদনশীল ক্ষমতাও।

সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০২১ উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘নিরাপদ খাদ্য ও ভোক্তা অধিকার আন্দোলন বাংলাদেশ’ আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। এর আগে দিবসটি উপলক্ষে সংগঠনের উদ্যেগে একটি বণার্ঢ্য র‌্যালি বের করা হয়।

আয়োজক সংগঠনের প্রধান নির্বাহী কামরুজ্জামান বাবলুর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেরে বাংলা কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের সদ্য সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহম্মদ বলেন, সরকারের নানামুখী কর্মকান্ডে দেশ খাদ্য উৎপাদনে অনেকটা স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও এখনও সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হয়ে উঠেনি। দেশে খাদ্য ব্যবসায়ে জড়িত কিছু অতি মুনাফাভোগী এবং ভেজালকারীচক্রের দৌরাত্ম্য ক্রমাগত বেড়েই চলেছে।

তিনি বলেন, অনিরাপদ খাদ্য গ্রহণের ফলে শুধু ব্যক্তি হিসেবে মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তাই নয়, এতে জাতি হিসেবে আমাদের উৎপাদনশীলতা কমে যাচ্ছে। এ ধারা অব্যহত থাকলে আগামীতে জাতি হিসেবে আমরা মারাত্মক সমস্যায় পতিত হবো।

ড. কামাল উদ্দিন আহম্মদ বলেন, নিরাপদ খাদ্য পাওয়ার অধিকার আমাদের সংবিধান স্বীকৃত। পৃথিবীর প্রতিটি দেশ নিরাপদ খাদ্যকে ভোক্তার অধিকার হিসেবে নেয় এবং এর ব্যত্যয় সেসব দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ বিবেচিত হয়। কিন্তু আমাদের দেশে আইন থাকলেও এর সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না।

কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূইয়া বলেন, ভেজাল খাদ্য নিয়ন্ত্রণে সর্বপ্রথম প্রয়োজন নৈতিক শিক্ষা। নৈতিক শিক্ষার অভাবেই মানুষ খাদ্যে ভেজাল মেশানোর মতো জঘন্য কাজ করে থাকে।

সভাপতির বক্তব্যে কামরুজ্জামান বাবলু বলেন, সরকার ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্ত মধ্যম আয়ের দেশ হতে হলে স্বাস্থ্যবান ও কর্মক্ষম জনশক্তির বিকল্প নেই। আর কর্মক্ষম জনশক্তির জন্য পুষ্টিসমৃদ্ধ নিরাপদ খাবারের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।

তিনি বলেন, স্বল্প পুষ্টি সংবলিত খাদ্য গ্রহণের কারণে বাংলাদেশের মানুষের গড় উৎপাদনশীলতা কমে যাচ্ছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে যেখানে পুষ্টিসমৃদ্ধ এবং গুণগত মানসম্পন্ন খাদ্য গ্রহণের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেখানে আমাদের দেশের মানুষ ক্রমশ নিম্নমানের খাদ্য গ্রহণে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। ফলে তারা কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় উৎপাদনশীলতা প্রদর্শন করতে পারছে না।

দেশের প্রায় সব ভোগ্যপণ্যের মধ্যে ভোজাল ঢুকে গেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বেশি লাভের আশায় অধিকাংশ ব্যবসায়ী ও উৎপাদকরা খাদ্যে ভেজাল মেশাচ্ছে। শক্ত হাতে এগুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব না হওয়ায় তা এখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বর্তমানে ছোট বড় সব খাবার দোকানে ভেজাল খাদ্য মিলছে। কিন্তু সে তুলনায় আইনের বাস্তবায়ন খুবই নগন্য।

সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি শহীদুল ইসলামের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ইসমাঈল হোসেন সিরাজী, সরদার মো. আব্দুস সাত্তার, জেসমিন আরা, নোমান মোশারেফ, আব্দুল আজিজ, ইমাম হাসান, মাহমুদুর রহমান খান বাপ্পী, শামসুজ্জামান নাঈম, রিপন মিয়া ও নজির আহমেদ প্রমুখ। -বিজ্ঞপ্তি

(ঢাকাটাইমস/১ফেব্রুয়ারি/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজধানী এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :