দুই দিন পর বেনাপোল দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের ‘জীবন-জীবিকা বাঁচাও কমিটি’র ডাকা ধর্মঘটের কারণে দুই দিন বন্ধ থাকার পর বেনাপলে বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পাঁচ দফা দাবি আদায়ে শ্রমিক সংগঠনটি ধর্মঘট ডাকায় দুই দিন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল ব্যস্ততম এই বন্দরটিতে। শ্রমিকরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করলে মঙ্গলবার সকাল থেকে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হয়।
এর আগে বাণিজ্য পরিচালনায় নিরাপত্তার নামে সীমান্তরক্ষী বিএসএফ কর্তৃক ব্যবসায়ীদের হয়রানি বন্ধসহ পণ্য খালাসের জটিলতা নিরসনে পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নে সংগঠনটি ধর্মঘটের ডাক দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এতে দুই বন্দরে প্রবেশে শত শত আমদানি-রপ্তানি পণ্যের ট্রাক আটকা পড়ে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, তারা বাণিজ্য সচলের জন্য রবিবার ও সোমবার দফায় দফায় বৈঠক করে আসছিলেন। কিন্তু দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় গত দুই দিন কোনও ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করতে পারেনি।
ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দরে জীবন জীবিকা বাঁচাও কমিটির ৫ দফা আন্দোলনে দুই দফা দাবি বাস্তবায়ন হওয়ায় আন্দোলকারীরা তাদের অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছে। যার ফলে মঙ্গলবার সকাল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে দু-দেশের মধ্যে আমদানি রপ্তানি শুরু হয়েছে।
মেনে নেয়া দুই দাবি হলো ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে পেট্রাপোল চেকপোস্টে হ্যান্ড কুলিরা কাজ করতে পারবে। পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরে রেখে চালকরা পায়ে হেটে এপার-ওপার যাতায়াত করতে পারবে।
বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল জানান, সকাল থেকে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। আটকে থাকা পণ্য যাতে ব্যবসায়ীরা দ্রুত খালাস নিতে পারেন তার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রায় পাঁচ শতাধিক ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি ও দেড় শতাধিক ট্রাকে বিভিন্ন পণ্য ভারতে রপ্তানি হয়ে থাকে। বাণিজ্যিক কার্যক্রম সম্পাদনে ভারতীয় সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যরা বেনাপোল বন্দরে আসা-যাওয়া করতেন। কিন্তু সীমান্তরক্ষী বিএসএফ সম্প্রতি নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে তাদের যাতায়াত বন্ধ করে দেয়। এছাড়া বিএসএফ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই পণ্যবাহী ট্রাক তল্লাশিতে দীর্ঘ সময়ক্ষেপণ করে। এসব সমস্যা সমাধানে আন্তরিক হতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বারবার অবহিত করা হয়। কিন্তু কোনো সমাধান না আসায় বাধ্য হয়ে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর জীবন-জীবিকা বাঁচাও কমিটি ধর্মঘট ডাক দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এ সংগঠনটির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে ভারতের পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন, আমদানি-রপ্তানি সমিতি, ট্রাক ট্রান্সপোর্টসহ সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যিক সংগঠনগুলো।
ঢাকাটাইমস/২ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/এমআর