ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আটা বিক্রিতে অনিয়ম করায় জরিমানা

প্রকাশ | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৪:৫৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে হঠাৎ ‘বসুন্ধরা আটা’ বিক্রি অনেক কমে এসেছে। বিষয়টি স্থানীয় পরিবেশকসহ কর্মকর্তাদের নজরে আসে। টিসিবির এক স্থানীয় পরিবেশককে এ নিয়ে সন্দেহ করা হয়। সেই মোতাবেক টিসিবির ওই পরিবেশকের কাছে আটা কিনতে যান স্থানীয় এক সাংবাদিক।

বসুন্ধরার বস্তা থেকে আটা বের করে দেয়া হলেও সেগুলো ওই কোম্পানির নয় বলে চ্যালেঞ্জ করেন সাংবাদিক। এতে টনক নড়ে ব্যবসায়ীর। প্রথমে জানানো হয় ওই এক বস্তা আটাই আছে, যা খোলা আটা হলেও বসুন্ধরার বস্তায় রাখা হয়েছে। তবে ওই সাংবাদিকের সন্দেহ হলে ভেতরে গিয়ে দেখেন একই রকম বস্তায় আরো প্রচুর আটা রাখা আছে।

পরে খবর পেয়ে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায়। পৌর এলাকার আনন্দ বাজারের তানিম এন্টারপ্রাইজ নামে টিসিবি ডিলারকে জরিমানা করা হয় ৬০ হাজার টাকা। পাশাপাশি এ ধরনের কাজ করবেন না বলে মুচলেকা দেন ডিলারের ভাই খোকন মিয়া। তবে ডিলার হোসেন মিয়া তখন সরে পড়েন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তানিম এন্টারপ্রাইজে বেশ কিছুদিন যাবত বসুন্ধরার বস্তায় ঢুকিয়ে নিজ দোকানের খুচরা আটা বিক্রি করা হতো। পাশাপাশি বেশ কিছু দোকানেও বস্তা সরবরাহ করেন তারা। বসুন্ধরার এসব বস্তা বেকারিসহ বিভিন্ন দোকান থেকে কিনে আনা হতো। এ ছাড়া বসুন্ধরার বস্তার মতো অবিকল সিলও মেরে আনা হতো।

বুধবার বসুন্ধরার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিষয়টি আঁচ করতে পেরে স্থানীয় সাংবাদিকদের সহযোগিতা চান। পরে এক সাংবাদিক ওই প্রতিষ্ঠানে গিয়ে আটা কিনেন। এরপরই বেরিয়ে আসে আসল রহস্য।

বিষয়টি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পঙ্কজ বড়ুয়াকে জানানো হয়। পরে তার নির্দেশে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম মশিউজ্জামান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ বি এম মশিউজ্জামান বলেন, ওই ব্যবসায়ী খোলা আটা বসুন্ধরার বস্তায় ভরে বিক্রি করার কথা স্বীকার করেছেন। তাকে জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি তিনি এমন করবেন না বলে মুচলেকা দিয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/৪ফেব্রুয়ারি/কেএম)