পেশেন্ট কেয়ারদের নার্স নিবন্ধন বাতিল চায় নার্সিং শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৪:৫৯ | প্রকাশিত : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৪:৪৮

কারিগরি শিক্ষাবোর্ড থেকে চার বছর মেয়াদি ‘ডিপ্লোমা ইন পেশেন্ট কেয়ার টেকনোলজি’ শিক্ষার্থীদের নার্স হিসেবে নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে ‘স্টুডেন্ট নার্সেস অ্যান্ড মিডওয়াইফস’ সম্মিলিত পরিষদের নার্সিং কোর্সের শিক্ষার্থীরা।

শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ স্টুডেন্ট নার্সেস অ্যান্ড মিডওয়াইফস সম্মিলিত পরিষদের ব্যানারে দেশের সরকারি-বেসরকারি নার্সিং কলেজের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী আন্দোলনে অংশ নেন।

আন্দোলনের যোগ দেয়া ৪ বছর মেয়াদী বিএসসি ইন নার্সিং, ডিপ্লোম ইন নার্সিং ও ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি শিক্ষার্থীদের দাবি কারিগরি থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীদের যেন নার্সিং সমমান নিবন্ধন না দেয়া হয়।

বাংলাদেশ স্টুডেন্ট নার্সেস অ্যান্ড মিডওয়াইফস সম্মিলিত পরিষদের আহ্বায়ক ইমরানুল হক হিমেল ঢাকাটাইমসকে বলেন, আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নেয়া পেশেন্ট কেয়ার টেকনোলজি কোর্স সম্পন্নকারীদের নার্সিংয়ের নিবন্ধন দেয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের আনুরোধ জানাই। তাদেরকে ডিপ্লোমা ইন পেশেন্ট কেয়ার টেকনোলজি নামে নিবন্ধন দেয়া হোক।

হিমেল আরও বলেন, নার্সিং পেশার সাথে তাদের কোর্স কারিকুলাম সাংঘর্ষিক হওয়া সত্ত্বেও কিছু ষড়যন্ত্রকারী রাতারাতি নিজেদের নার্স হিসেবে দাবি করে বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিল থেকে সার্টিফিকেট চাইছে। অথচ এসএসসি, এইচএসসি বিজ্ঞান বিভাগসহ পাশ করে নার্সিং পেশায় আসতে হয়।

তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ থেকে প্রণীত নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল আইন ২০১৬ অনুযায়ী বাংলাদেশ ও বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশী নার্সিং শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধন দেয়ার একমাত্র ক্ষমতা রাখে বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল (বিএনএমসি)।

আন্দোলনরত রাজধানীর কেয়ার নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী নাবিল জামান ঢাকাটাইমসকে বলেন, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৪ বছর মেয়াদি পেশেন্ট কেয়ার টেকনোলজি কোর্সের সঙ্গে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল কর্তৃক স্বীকৃত নার্সিং শিক্ষার কোনো সম্পর্ক নেই।

নাবিল বলেন, বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল আইন ২০১৬ এর ২৪ নং ধারা অনুযায়ী নার্সিং কাউন্সিলের অনুমোদন ব্যতিত কোনো প্রতিষ্ঠানে নার্সিং কোর্স পরিচালনা করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এই আইনের ২৪ নং ধারা অনুযায়ী নার্সিং কাউন্সিলের নিবন্ধন ব্যতিত কোনো ব্যক্তি নিজেকে নার্স পরিচয় দিতে পারবে না। পেশেন্ট কেয়ার টেকনোলজি কোর্স সম্পন্নকারীদের নার্স বলাও এই আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন।

এর আগে গত বছর ১০ ফেব্র্রুয়ারি নার্সদের আন্দোলনের মুখে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে নার্সিং ও টেকনোলজি কোর্স বাতিল করে দেয়া হয়। তবে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি ডিপ্লোমা ইন পেশেন্ট কেয়ার টেকনোলজি কোর্সের শিক্ষার্থীদের নার্সিংয়ের নিবন্ধন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

অন্যদিকে ২০১১ সালে নার্সদের দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তার পদমর্যাদা দেয়া হয়। একইসঙ্গে নার্সিং পেশায় শিক্ষার মান প্রসারে নার্সিং কলেজ, জাতীয় নার্সিং গবেষণা প্রতিষ্ঠান (নিয়ানার) নার্সিং অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/৬ফেব্রুয়ারি/এসআর/কেআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :