যশোরে সাংসদ নাবিলের করোনার টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন

যশোর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৪:০৪

যশোরে করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন সাংসদ কাজী নাবিল আহমেদ। রবিবার সকালে যশোর-৩ আসনের এ সাংসদ নিজে সর্বপ্রথম টিকাগ্রহণ করে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। টিকাদান কর্মসূচি চলবে দুপুর তিনটা পর্যন্ত।

এর আগে যশোর জেনারেল হাসপাতাল চত্বরে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা হয়। এসময় তিনি করোনা মহামারী প্রতিরোধে টিকাদান কার্যক্রম সফল করার আহ্বান জানান। প্রথমদিন এ জেলায় টিকা দেওয়া হবে দুই হাজার নিবন্ধনকারী।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় সাংসদ নাবিল বলেন, ‘করোনা মহামারী প্রতিরোধের পরিবর্তে এক শ্রেণির মানুষ অপরাজনীতিতে লিপ্ত হয়েছে। তারা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টি না ভেবে ব্যক্তিস্বার্থ নিয়ে ভাবছেন। ভ্যাকসিন নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছেন। অথচ এই ভ্যাকসিন ইউকে, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে পরীক্ষা করে সফল প্রমাণ হয়েছে। তাই গুজবে কান না দিয়ে আমাদের এই করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে।’

সাংসদের টিকাগ্রহণের পর উপস্থিত যশোর জেলা প্রশাসক মোহম্মদ তমিজুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম মিলন, যশোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল, হাসপাতালের তত্বাধায়ক ডাক্তার দিলিপ কুমার রায়, সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, বিএমএ সভাপতি ডাক্তার কামরুল ইসলাম বেনু, মুক্তিযোদ্ধা, সেবিকাসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা করোনার টিকা নেন।

যশোর সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত আটটা পর্যন্ত টিকার জন্য যশোরে নিবন্ধন করেছেন পাঁচ হাজার ১৫৪ জন। যাদের মধ্যে আজ প্রথম দিন দুই হাজার জনকে করোনার টিকা দেয়া হবে।

সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন গত শনিবার জানিয়েছিলেন, টিকা দেয়ার জন্য যশোরের ১১টি কেন্দ্রে ৩৬টি টিম কাজ করবে। এর মধ্যে জেনারেল হাসপাতালে ১৫টি ও উপজেলা পর্যায়ে থাকবে ২১টি টিম। প্রতি টিমে দুইজন করে টিকাদানকারী সেবিকা ও চারজন স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন। ইতোমধ্যে কয়েক ধাপে টিকাদানকারীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। প্রথম দিন সকাল দশটা থেকে দুপুর তিনটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে টিকা দেওয়া হবে।

ইতোমধ্যে যশোরে ৯৬ হাজার ডোজ করোনা টিকা পৌঁছেছে। যা সিভিল সার্জনের তত্ত্বাবধায়নে রয়েছে। জেলায় ১৩৫টি কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে। প্রত্যেক কেন্দ্রে একটি টিম কাজ করবে। ইউনিয়নে ৯১টি, সদর বাদে সাত উপজেলায় ২১টি, সদর হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে ১৫টি, পুলিশ হাসপাতালে দুইটি, সামরিক হাসপাতালে দুইটি ও সিভিল সার্জন অফিসে একটি টিম কাজ করবে। এর মধ্যে সদর হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের আট টিম এবং সিভিল সার্জন অফিসের একটি টিম রিজার্ভে থাকবে। প্রতি টিম দিনে ১৫০ জনকে টিকা দিতে পারবে।

(ঢাকাটাইমস/৭ফেব্রুয়ারি/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :