কাস্টমসের সোনা চুরি মামলায় আরও একজন গ্রেপ্তার

বেনাপোল কাস্টমস হাউজের ভোল্ট ভেঙে প্রায় ২০ কেজি সোনা চুরি মামলায় আরও একজন কাস্টমস কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। আটক আরশাদ হোসাইন বরিশাল জেলার মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার অশ্বিকাপুর গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে।

গত শনিবার রাত ১০টায় মুন্সিগঞ্জ জেলা থেকে সিআইডি তাকে আটক করে রবিবার আদালতে সোপর্দ করে। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সিআইডির দাবি, ঘটনার আগে আটক আরশাদ ওই ভোল্টের ইনচার্জ ছিলেন। ওই সময় তার কাছেই চাবি থাকতো। তাছাড়া সোনা চুরি হওয়ার পরও লকারের তালা অক্ষত থাকায় আরশাদ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ হয়।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর রাত ৮টা থেকে ১১ নভেম্বর সকাল ৮টার মধ্যে যেকোনো সময় বেনাপোল কাস্টমস হাউজের পুরাতন ভবনের দ্বিতীয় তলার গোডাউনের তালা ভেঙে চোরেরা ভোল্টের তালা খুলে ১৯ কেজি ৩১৮ দশমিক ৩ গ্রাম সোনা চুরি করে নিয়ে যায়। এসব সোনার মূল্য ১০ কোটি ৪৩ লাখ ১৭ হাজার ৩৬২ টাকা।

এই ভোল্টের চাবি শাহিবুল নামে এক কর্মকর্তার কাছেই থাকতো। এছাড়া গোডাউনের বিভিন্ন লকারে সোনাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিল। সেগুলো ছিল অক্ষত।

ঘটনার সময় সিসি ক্যামেরা বন্ধ ছিল রহস্যজনক কারণে। বিষয়টি জানাজানি হলে কাস্টম হাউজের রাজস্ব কর্মকর্তা এমদাদুল হক বাদী হয়ে পোর্ট থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ গোডাউনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিবুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এরপর পুলিশ তাকে এ মামলায় আটক করে। আটক করা হয় সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও ভোল্ট ইনচার্জ বিশ্বনাথ কুন্ডুকেও। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

সবশেষ আরশাদকে আটক করে সিআইডি। তাকেও রিমান্ডে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম।

(ঢাকাটাইমস/৭ফেব্রুয়ারি/কেএম)