পুলিশ হাসপাতাল প্রকল্প: ১১০ কর্মীকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৬:৪৮ | প্রকাশিত : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৬:৪২

বাংলাদেশ পুলিশ হাসপাতাল আধুনিকায়ন উন্নয়ন প্রকল্পে নিয়োগ পাওয়া ৩১৪ কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে বাকি ১১০ জনকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবি জানানো হয়েছে।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ১১০ কর্মীর পক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের অ্যাকাউন্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট নীলরতন।

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মো. আকরাম খাঁ হলে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

লিখিত বক্তব্যে নীলরতন বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ হাসপাতালগুলোর আধুনিকায়ন উন্নয়ন প্রকল্পে নিয়োগ পেয়ে আমরা ১৮ বছর যাবত কাজ করে আসছি। ১৯৯৭ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্প শেষ হয় ২০০৫ সালে। তখন থেকে এই প্রকল্পের থোক বরাদ্দের সামান্য বেতন-ভাতা আমরা পেয়ে আসছি। ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রকল্পে কর্মরত ৩১৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের অনুমোদন দেন। যার ফলে ২০১৭ সালে সেখান থেকে ১৯১ জনকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করা হয়। বাকি ১২৩ জনকে বলা হয় তাদের পর্যায়ক্রমে স্থানান্তর করা হবে। কিন্তু এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে ১২৩ জন থেকে কয়েকজন মারা গেছেন এবং কেউ কেউ চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন। অবশিষ্ট ১১০ জন নিজ নিজ পদে এখনও কর্মরত আছেন। কিন্তু তাদের এখন পর্যন্ত রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করা হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, আমরা জানি এই সকল পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নতুন জনবল নিয়োগ দেয়ার পরিকল্পনা চলছে। সুদীর্ঘ ১৮ বছর যাবত একই পদে কর্মরত থাকায় কাজের বিষয়ে আমরা বেশ দক্ষতা অর্জন করেছি। আবার অন্যদিকে আমাদের চাকরিতে যোগদানের নির্ধারিত বয়সসীমা অতিক্রম করেছে। যার ফলে আমরা অন্য কোনো কাজও নতুন করে করতে পারবো না। কিন্তু সরকারের এই সিদ্ধান্তে আমরা এখন হতাশ। যদি আমাদের বাদ দিয়ে নতুনদেট আনা হয়, তবে এই ১১০ টি পরিবার নিঃস্ব হয়ে যাবে। প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে আমাদের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়ে বলেন, অন্তত মানবিকতার বিবেচনায় আমাদের এই ১১০ জনকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে প্রকল্পের আওতায় নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/০৮ফেব্রুয়ারি/এআর/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :