মিথ্যা হত্যা মামলা করায় পাঁচজন কারাগারে
মাগুরায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ আটজনের নামে মিথ্যা হত্যা মামলা করার অভিযোগে করা মামলায় পাঁচজনকে সোমবার দুপুরে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মাগুরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক এই আদেশ দেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মহম্মদপুর উপজেলার নহাটা বিলুপাড়ার সাইফুল জর্দ্দারের মেয়ে লাবনি খাতুনের সঙ্গে মাগুরা সদরের বাহারবাগ গ্রামের গোলাম কুদ্দুসের ছেলে আফজাল হোসেনের সঙ্গে ২০১৮ সালের ২ এপ্রিল বিয়ে হয়। গত ২৯ আগস্ট লাবনি খাতুন তার স্বামীর উপর অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
বিষয়টি নিয়ে লাবনি খাতুনের বাবা সাইফুল জর্দ্দার তার সহযোগী গোলাম আজমের প্ররোচনায় মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে বাদী হয়ে ২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
মামলায় লাবনির স্বামী আফজাল হোসেন, গোপালগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান রাজিব, ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন সদস্য ছায়েমউদ্দিন চুন্নুসহ আটজনকে আসামি করা হয়। বিচারক মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন।
মামলা তদন্তে হত্যার অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়। বিজ্ঞ বিচারক ওই মামলা থেকে গোপালগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান রাজিবসহ আটজনকে অব্যাহতির আদেশ দেন।
অব্যাহতির আদেশের পর মিথ্যা হত্যা মামলায় হয়রানি ও সম্মানহানীর অভিযোগে মিথ্যা হত্যা মামলার শিকার ছায়েম উদ্দিন চুন্নু বাদী হয়ে একই আদালতে ওই মিথ্যা মামলার বাদী বাহারবাগ গ্রামের সাইফুল জর্দ্দার(৪৬), তাইব বিশ্বাস(৫০), ওসমান বিশ্বাস(৪৫), আকরাম বিশ্বাস(২৬), করিম বিশ্বাস(৫০) ও গোলাম আজমকে(৩৮) আসামি করে গত ১ ফেব্রুয়ারি মামলা করেন।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে মাগুরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে এজহার হিসেবে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে আসামিদের প্রতি গ্রেপ্তার পরোয়ানা জারি হয়। এই প্রেক্ষিতে আসমিরা সোমবার মাগুরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এ হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত আসামিদের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
(ঢাকাটাইমস/৮ফেব্রুয়ারি/কেএম)