ব্রি ধান-৮১ চাষে সাড়া ফেলছে ধামইরহাটের কৃষকরা

অরিন্দম মাহমুদ, ধামইরহাট (নওগাঁ)
 | প্রকাশিত : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৫:২২

ইরি-বোরো মৌসুমে ধানের ভালো দাম পেয়ে এবার আগে ভাগেই কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন কৃষকরা। এবার নওগাঁর ধামইরহাটে উচ্চ ফলনশীল জাতের ব্রি ধান-৮১ চাষে সাড়া ফেলেছেন কৃষকরা।

ধামইরহাট ইউনিয়নের কৃষক দেওয়ান রাহিদুল ইলাম বলেন, ‘লিফলেটের মাধ্যমে ব্রি ধান-৮১ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারি এবং পরবর্তীতে কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে এ ধান রোপণে আগ্রহী হই। ব্রি ধান-৮১ চাষ করার পরেও আমরা পরবর্তীতে তিনটি ফসল ঘরে তুলতে পারব। এমন সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনি।’

ইরান থেকে সংগৃহীত জাত অসড়ষ-৩ এর সঙে ব্রি ধান ২৮ এর সংকরায় করে বংশানুক্রম নির্বাচন এবং পরবর্তীতে ধানের শীষ থেকে সারি পদ্ধতির মাধ্যমে এ ব্রি ধান- ৮১ জাতটি উদ্ভাবন করা হয়।

উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে জানা যায়, উচ্চ ফলনশীল ব্রি ধান-৮১ বীজতলা থেকে ধানকাটা পর্যন্ত পরিপূর্ণ হতে ১৪০ থেকে ১৪৫ দিন সময় লাগে। উচ্চ ফলনশীল ব্রিধান- ৮১ হেক্টর প্রতি ৬.০-৬.৫ টন ফলন হয়। তবে উপযুক্ত পরিচর্যা ও অনুকুল পরিবেশে সর্বোচ্চ ৮.০ টন প্রতি হেক্টরে ফলন দিতে সক্ষম।

কৃষি কর্মকর্তা সেলিম রেজা জানান, উচ্চ ফলনশীল ব্রি ধান-৮১ দেখতে বাসমতি ধানের মতো চিকন ও খেতে সুস্বাদ। উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ এ জাতটিতে প্রিমিয়াম ধানের সকল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। বিশেষ করে আমাদের এই এলাকায় এপ্রিল মাসের শেষে অথবা মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ঘুর্ণিঝড় হয়, আবহাওয়া খারাপ থাকে। এসময় কৃষকের মাঠে পাকা বা আধাপাকা জিরা ধান থাকে এবং তবে তা বাতাসের কারণে ঝড়ে পড়ে। সেদিক দিয়ে আমাদের ব্রি ধান- ৮১ খুব শক্ত। ঝড়ো বাতাসে হেলে পড়েনা। সেকারণেই আমাদের কৃষকদের কাছে ব্রি ধান- ৮১ খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

তিনি বলেন, ‘ব্রি ধান- ৮১ চাষে আমরা কৃষকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করেছি। গত বছর থেকে এ বছর তিন থেকে চারগুন বেশি ব্রি ধান- ৮১ আবাদ হয়েছে। আস্তে আস্তে জিরা ধানের পরিবর্তে ব্রি ধান- ৮১ চাষ অনেকাংশে বেড়ে যাবে।’

(ঢাকাটাইমস/৯ফেব্রুয়ারি/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :