দুই যুগেও রাস্তাটির সংস্কার হয়নি

এস এম রেজাউল করিম, ঝালকাঠি
 | প্রকাশিত : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৫:৩৩

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার ধানসিঁড়ি নদীর পূর্বপাড় থেকে প্রায় তিন কি.মি দীর্ঘ রাস্তাটিতে ইট বসানো হয়। প্রায় দুই যুগ আগে উপজেলার পশ্চিম ইন্দ্রপাশা-ভূমিহীন-গুচ্ছগ্রাম এলাকার এ রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু বর্ষা ও বন্যায় রাস্তাটির বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে রাস্তাটি ভেঙে যায়। ভূমিহীনের উত্তর প্রান্তের কালভার্টটিও ভেঙে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। এদিকে গুচ্ছগ্রাম এলাকার ধানসিঁড়ি শাখা খালের ব্রিজের গোঁড়ায় মাটি না থাকায় যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।

এছাড়া রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানের ইট ভেঙে সড়ে গিয়ে একেবারে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্মাণের পর থেকে একবারও সংস্কার হয়নি রাস্তাটি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, তিন কি.মি. দীর্ঘ রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় অসংখ্য খানাখন্দের কারণে যানবাহন ও মানুষের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। রাস্তায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, মঠবাড়ী ইউনিয়নের চর ইন্দ্রপাশা গ্রামের রাস্তাটি দিয়ে হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ, ব্যাংক, বীমা, পোস্ট আফিস, ইউনিয়ন পরিষদ, থানা, বিভিন্ন এনজিও অফিসসহ গুরত্বপূর্ণ অফিসে যাতায়াতে করে স্থানীয়রা। রাস্তাটি ভেঙেচুড়ে একাকার হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে কয়েক হাজার পথচারী ও বসবাসকারী সাধারণ মানুষকে। দীর্ঘদিন ধরে রিকশা-ভ্যান চলাচল বন্ধ থাকায় বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বৃদ্ধ রোগী ও শিশু শিক্ষার্থীসহ মালামাল বহনকারীদের। বাগড়ি বাজার সংলগ্ন চর ইন্দ্রপাশা ব্রিজ থেকে উত্তর দিকে ভূমিহীন, গুচ্ছগ্রাম ও আশ্রয়ণকেন্দ্র রাস্তাটিতে অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও ভ্যানসহ সকল যানবাহন চলাচল কয়েক বছর ধরে বন্ধ। সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তার অবস্থা আরো ভয়ঙ্কর হয়ে পড়ে। এ রাস্তাটিতে একটি ব্রিজ ও দুইটি কালভার্ট রয়েছে। ব্রিজের দুই পাশের রাস্তার ইট ও মাটি সড়ে গিয়েছে। কালভার্ট ভেঙে যাওয়ায় চলাচল বন্ধ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অতি নিম্নমানের মালামাল দিয়ে কালভার্ট নির্মাণ করায় তা ভেঙে গেছে।

স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান আহম্মেদ খান দুঃখ প্রকাশ করে জানান, রাস্তা বেহালের কারণে অটোরিকশাসহ কোন প্রকার যানবাহন চলে না। দীর্ঘ কয়েক বছরে সংস্কার না হওয়া, অযত্ন-অবহেলায় এবং কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টির অভাবে সড়কটির এমন দশা।

কলেজ শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম শান্ত জানান, অসুস্থ রোগী দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে তাদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। রাস্তা খারাপের কারণে কোনো গাড়ি বা অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে পারে না এ রাস্তায়। রাস্তার ইট উঠে খানাখন্দে ভরে গেছে। অনেকাংশে রাস্তার ইটের কোনও অস্তিত্ব নেই। রাস্তাটির অন্তত ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ স্থান বেহাল অবস্থায় রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তার দ্রুত সংস্কারে কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।

মঠবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল সিকদার জানান, সড়কটি ইতোমধ্যে জেলা উন্নয়ন প্রকল্পে তালিকাভূক্ত করা হয়েছে। রাস্তাটি বেহাল হওয়ার কারণে দীর্ঘদিন ধরে মানুষ ভোগন্তি পোহাচ্ছে। দ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রাস্তাটি সংস্কার করবে।

রাজাপুর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা জানান, খোজঁখবর নিয়ে জেলা উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে রাস্তাটির দ্রুত সংস্কার করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/১০ফেব্রুয়ারি/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :