বগুড়ায় পরিবহন ধর্মঘট

বগুড়ায় জেলা মোটর মালিক গ্রুপের অফিস দখল নিয়ে সরকার দলীয় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে একপক্ষের ডাকা অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট চলছে। বুধবার সকাল থেকে এই পক্ষ তাদের পরিবহন চলাচল বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছে। এতে করে বিপাকে পড়েছে যাত্রীরা।

পুলিশ বলছে বগুড়া থেকে অভ্যন্তরীণ যান চলাচল বন্ধ রাখলেও বগুড়ার বাইরে থেকে ছেড়ে আসা যানবাহন ঠিকঠাক চলাচল করছে। এছাড়া পরিস্থিতি যেন পুনরায় ঘোলাটে না হয় সে জন্য ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।

এদিকে ধর্মঘটকারীরা বগুড়া থেকে যেন কোনো গাড়ি রাস্তায় বের না হয় সেজন্য তারা চারমাথা এলাকায় অবস্থান করছে।

মঙ্গলবারের ঘটনায় বগুড়া সদর থানায় উভয়পক্ষ এবং পুলিশের পক্ষ থেকে মোট তিনটি মামলা করা হয়েছে। বগুড়া উপশহর ফাড়ির ইনচার্জ নান্নু মিয়া বাদী হয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এছাড়া মশিউল আলম দীপন নামের এক ব্যক্তি যুবলীগ নেতা আমিনুলসহ তার লোকজনের বিরুদ্ধে এবং আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে মঞ্জুরুল আলম মোহনসহ তার লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

এদিকে ধর্মঘটের কারণে ভোগান্তির শিকার আবু সাঈদ জানান, আদমদীঘি যাওয়ার জন্য চারমাথায় এসেছিলাম। অনেকক্ষণ যাবৎ দাঁড়িয়ে আছি। কোনো বাস নেই।

সানাউল হক নামে ভোগান্তির শিকার আরেক যাত্রী বলেন, জরুরি কাজে নওগাঁ যেতে হবে। গাড়ি নেই। তাদের দ্বন্দ্বে আমাদের ভোগান্তি হচ্ছে।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ফয়সাল মাহমুদ জানান, চারমাথা এলাকায় যেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে সেজন্য সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। ধর্মঘট বিষয়ে তিনি বলেন, নরমালি যানবাহনগুলো তো চলছেই। দূরপাল্লার গাড়িগুলো তো চলছেই। তারা শুধু নিজস্ব গাড়িগুলো চালাচ্ছে না।

উল্লেখ্য, এর আগে মঙ্গলবার বগুড়া জেলা মোটর মালিক গ্রুপের অফিস দখল নিয়ে সরকার দলীয় দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের পর মোটর মালিক গ্রুপের সাবেক আহ্বায়ক ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহনকে গ্রেপ্তারের দাবিতে এই পরিবহন ধর্মঘটের আহ্বান করা হয়।

দুপুর ২টার দিকে পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা দেন বগুড়া জেলা মোটরমালিক গ্রুপের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম। মঙ্গলবার দুপুর থেকে বগুড়া জেলায় এবং বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) থেকে উত্তরবঙ্গ জুড়ে পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা দেয়া হয়।

(ঢাকাটাইমস/১০ফেব্রুয়ারি/কেএম)