বগুড়ার পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত
অধিকাংশ দাবি-দাওয়া মেনে নেয়ায় বগুড়া জেলা মোটর মালিক গ্রুপের একপক্ষের ডাকা পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে বগুড়া পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঁঞার সঙ্গে আলোচনায় বসার পর সংগঠনের নেতারা এই সিদ্ধান্ত নেন। বিষয়টি বগুড়ার পুলিশ প্রশাসন এবং সংগঠন থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
বগুড়া মোটর মালিক ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদ নেতা আব্দুল মান্নান আকন্দ জানিয়েছেন, বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঁইয়ার সঙ্গে এক বৈঠকে মোটর মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা দুপুর ২টা থেকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
মান্নান বলেন, আমাদের যে দাবি ছিল সেই দাবিগুলোর অর্ধেকের বেশি পূরণ হয়েছে। দ্বিতীয় আর হামলা হবে না জানিয়ে ব্যাপক আশ্বাস দেয়া হয়েছে। মামলা নেয়া হয়েছে। আসামিদের ধরার জন্য পুলিশ তৎপর। আমরা ধর্মঘট আপাতত স্থগিত করেছি। আসামি ধরার পর পূর্ণাঙ্গ প্রত্যাহার করা হবে। বৈঠকে ট্রাক মালিক সমিতি, বাস মালিক সমিতি, ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।
বগুড়া পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঁঞা জানান, ঘটনার পর থেকেই পুলিশ তৎপর ছিল। এছাড়া উভয়পক্ষেরই মামলা নেয়া হয়েছে। নিজেদের মাঝে কোন্দলের জের ধরে সাধারণ মানুষের ভোগান্তিকে চলমান রাখা ঠিক না আমরা এই বিষয়টা তাদেরকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। তারা এ বিষয়ে একমত হয়েছেন। তাদের দাবি ছিল তদন্ত যেন সঠিকভাবে হয় এবং যারা দোষী তারা যেন সাজা পায়।
পুলিশ সুপার বলেন, আমাদের আইনি কার্যক্রম চলমান আছে। ঘটনাস্থল চারমাথায় মোতায়েন করা অতিরিক্ত পুলিশ উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ ও অফিস দখলকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার দুপুরে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশ সাংবাদিকসহ ১০ জন আহত হয়। পুড়িয়ে দেয়া হয় কয়েকটি গাড়ি, মোটরসাইকেলসহ কাউন্সিলর আমিনুল ইসলামের কার্যালয়।
এ ঘটনায় বগুড়া জেলা মোটর মালিক গ্রুপের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহনের গ্রেপ্তার দাবিতে ডাকা অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট দুপুর ২টা পর্যন্ত চলে।
(ঢাকাটাইমস/১০ফেব্রুয়ারি/কেএম)