ভৈরবের মেয়রের বিরুদ্ধে দুই কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৭:৫৯ | প্রকাশিত : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৭:৫২

কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌরসভার মেয়রসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে আদালতে একটি মামলা করা হয়েছে। বুধবার সকালে কিশোরগঞ্জ দ্বিতীয় যুগ্ম জেলা জজ আদালতে তাবারুক হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

বাদী তাবারুক ভৈরবের শম্ভুপুর গ্রামের শব্দর আলীর ছেলে। এ মামলার এজাহারটির সমন মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা ফখরুল আলমসহ সব বিবাদী হাতে পেয়েছেন। মামলায় কাউন্সিলর, পুলিশ, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিককেও আসামি করা হয়েছে।

অন্যান্য বিবাদীরা হলেন- ভৈরব পৌরসভার প্রধান সহকারী মো. ইমাম হোসেন, ব্যবসায়ী জিল্লুর রহমান, বাদল মিয়া, লিয়াকত আলী, আ. হেকিম, আওয়ামী লীগ নেতা মির্জা সুলাইমান, পৌর কাউন্সিলর হাবিবুল্লাহ নিয়াজ, কাউন্সিলর দ্বীন ইসলাম, পৌরসভার প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আল আমিন, পুলিশের এসআই মো. মাজহারুল ইসলাম ও সাংবাদিক মিলাদ হোসেন অপু।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বাদী তাবারুক হোসেনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ফারুক মিয়া নামে এক কর্মচারী ছিলেন। ২০০৯ সালের ৭ মার্চ ওই কর্মচারী ক্যাশের দুই লাখ ১১ হাজার ৫৭৮ টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যায়।

পরে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধে তাবারুক হোসেন আদালতে মামলা দিলে আদালত সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে কর্মচারী ফারুক মিয়াকে এক বছর কারাদণ্ড প্রদানসহ তিন হাজার টাকা জরিমানা করেন।

এরপর আসামি ফারুক মিয়া মামলাটি উচ্চ আদালতে আপিল করলে আদালত নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখেন। এরপর বাদী তার পাওনা টাকা আদায় করতে বাজিতপুর চৌকি আদালতে একটি মামলা করেন।

আদালত তার বাড়িঘর ক্রোক করে পাওনা টাকা আদায় করতে পুলিশকে নির্দেশ দেন। ওই রায়ের পর বিনা কারণে মামলার ১২ আসামি যোগসাজশ করে বাদী তাবারুক হোসেনকে ২০১৭ সালের ২০ সেপ্টেম্বর পৌরসভায় ডেকে এনে মারধর করার পর পুলিশে সোপর্দ করে এবং থানায় একটি মিথ্যা মামলা করেন পৌরসভার প্রধান সহকারী ইমাম হোসেন।

তাবারুক হোসেনের অভিযোগ মেয়রের নির্দেশে মামলাটি করা হয়। পরে তাবারুক দুই মাস ১৭ দিন জেল খাটার পর হাইকোর্ট থেকে জামিন পান। এর পর পৌর কর্তৃপক্ষের করা মামলাটি সাক্ষ্যপ্রমাণের অভাবে আদালত খারিজ করে দেন।

ঘটনাটি তখন স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদে তাবারুক আলীর কোনো বক্তব্য ছাপা হয়নি। এ কারণে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে সাংবাদিক অপুকে মামলায় আসামি করা হয়। পুলিশের এসআই মাজহারুল ইসলাম ঘটনার তদন্ত না করে মামলা গ্রহণ করে তাবারুককে হাতকড়া পড়িয়ে আদালতে চালান দেয়ায় তাকেও আসামি করা হয়েছে।

ঘটনায় বাদীর মানসম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে দাবি করে তিনি দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলাটি আদালতে করেছেন।

এ বিষয়ে বাদী তাবারুক হোসেন বলেন, পৌর মেয়র আক্কাস আমার মানসন্মান সমাজে ক্ষুণ্ন করায় ঘটনায় জড়িত ১২ জনকে অভিযুক্ত করে ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করেছি। আমি আদালতের কাছে ন্যায়বিচার দাবি করছি।

এসআই মাজহারুল ইসলাম জানান, থানার ওসির নির্দেশে সেদিন আমি তাকে গ্রেপ্তার করি।

সাংবাদিক মিলাদ হোসেন অপু বলেন, আমি ঘটনায় প্রতিবেদন প্রকাশ করেছি। এ কারণে তিনি আমাকে মামলায় আসামি করতে পারেন না।

ভৈরব পৌরসভার মেয়র ফখরুল আলম আক্কাছ বলেন, তাবারুক আলী একজন মিথ্যাবাদী। তাই তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলাটি আদালত খারিজ করেছেন। তিনি বলেন, বিষয়টি আমি আইনিভাবে মোকাবিলা করবো।

(ঢাকাটাইমস/১০ফেব্রুয়ারি/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :