‘নারীর দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে সরকার’

প্রকাশ | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২০:৩৭ | আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২০:৪৩

চট্টগ্রাম ব্যুরো, ঢাকাটাইমস

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এমপি বলেছেন, দেশের জনসংখ্যার অর্ধেক অংশ নারী। এই নারী সমাজকে বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে সংবিধানে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার নারীর দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে।

প্রতিমন্ত্রী বুধবার সকাল ১১টায় ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলা  শিল্পকলা একাডেমিতে  চট্টগ্রাম জেলা জয়িতা সংর্ধ্বনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।

এ সময় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার শংকর রঞ্জন শাহা, জাতীয় মহিলা সংস্থান চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ চেমন আরা তৈয়ব, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, অতিরিক্ত ডিআইজি জাকির হোসেন, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা (উপপরিচালক) মাধবী বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারীর লালিত স্বপ্ন পূরণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জয়িতা ফাউন্ডেশন নির্মাণ করেছেন। নারীর দক্ষতা, যোগ্যতা ও ক্ষমতায়নের জন্য তৃনমূলে নেতৃত্ব দেয়ার ব্যবস্থা রেখেছেন। নারীর দক্ষতা উন্নয়নের জন্য জেলাভিত্তিক কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে।

ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, পুরুষের পাশাপাশি নারীরা এখন স্বাবলম্বী হতে শিখেছে। পরিবার ও সমাজে নারীরা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সর্বত্র নারীর গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে। নারীরা আমাদের সমাজে সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছে। নারীরা এখন বাংলাদেশের উন্নয়নের সহযোদ্ধা বলে উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা (উপপরিচালক) মাধবী বড়ুয়া। এসময় জয়িতাদের সম্মানে থিমসং পরিবেশন করা হয়।

বিভিন্নক্ষেত্রে সফলতার জন্য ৫৪ জন নারীকে জয়িতা হিসেবে সম্মাননা জানায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রশাসন। তাদের সনদ, ক্রেস্ট  ও সম্মানি দেয়া হয়।

৫৪ জনের মধ্য থেকে ‘সফল জননী’ হিসেবে চট্টগ্রামের মনোয়ারা বেগম, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেতে কুমিল্লার সুফিয়া আক্তার, অর্থনীতিতে রাঙ্গামাটির জয়শ্রী ধর, সমাজ উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তাছলিমা খানম এবং বিভীষিকাময় নারী হিসেবে লক্ষ্মীপুরের শিরিণ আক্তারকে ‘শ্রেষ্ঠ জয়িতা’ নির্বাচিত করা হয়। 

(ঢাকাটাইমস/১০ফেব্রুয়ারি/কেএম)