ফাল্গুন আর ভ্যালেন্টাইন ঘিরে ভরে উঠছে ফুলের দোকান

কাজী রফিক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২৩:০১

মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় এক বছর বাণিজ্য মুখ থুবড়ে পড়লেও এবার পয়লা ফাল্গুন আর ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে ব্যবসার আশা করছেন ফুল ব্যবসায়ীরা। ফাল্গুন মাস আসার প্রায় চার-পাঁচদিন আগে থেকেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে ফুল এনে সাজি ভরে উঠছে রাজধানীর ফুলের দোকানে। নানা রকমের মালিকা আর ফুলের রিং তৈরি করতে ব্যস্ত ব্যবসায়ীরা।

ঋতু বৈচিত্র্যে মাঘ মাস দিয়ে শনিবার শেষ হচ্ছে শীতকাল। রবিবার পয়লা ফাল্গুন দিয়ে শুরু হবে ঋতুরাজ বসন্তের। বাংলা সনের তারিখে পরিবর্তন আনায় পয়লা ফাল্গুনের দিনে পড়েছে পাশ্চাত্য ঢংয়ের ভালোবাসা দিবস ভ্যালেন্টাইন ডে।

প্রতিবছর পয়লা ফাল্গুনকে ঘিরে ফুলের ব্যবসা জমজমাট হলেও এবার করোনাভাইরাসের কারণে উৎসব পালনে স্বাস্থ্যবিধির নির্দেশনা আছে। এরপরও পয়লা ফাল্গুন আর ভ্যালেন্টাইন ডেতে ফুলের বাণিজ্য জমে উঠবে বলেই আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।

শুক্রবার ঢাকার শাহবাগের ফুলের দোকানগুলো আগাম প্রস্তুতি দেখা গেছে। দোকানগুলোতে থরে থরে সাজানো হয়েছে নানা রকম ফুলের সাজি। বানানো হচ্ছে মেয়েদের মাথায় পড়ার ফুলের রিংসহ হাত ও গলার হার। সবমিলিয়ে ফুলের ঘাটতি নেই দোকানে। ক্রেতার ঘাটতি হবে না বলেও মনে করছেন দোকানিরা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবারের ফাল্গুনের দিন তাদের কাছে ভিন্ন। প্রতি বছর এ মৌসুমে ফুলের ব্যবসা ভাল হলেও এ বছর করোনার কারণে ক্রেতা সংকট আছে। তাই আয়োজন অন্যবারের চেয়ে কম। তবুও প্রস্তুতিতে ঘাটতি রাখছেন না তারা।

অরকিড ফ্লাওয়ার শপের মালিক মমিন হোসেন ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘ফাল্গুন আর ভালবাসা দিবস একদিনে পড়ছে। এসময় ফুলের দাম একটু বেশিই থাকে। দুই দিন আগেই ফুলের দাম বেড়েছে। গত ফাল্গুনের পর করোনা আসার পর ব্যবসার অবস্থা খারাপ। আশা করছি এবার কাস্টমার আসবে।’

শাহবাগে দেখা গেছে, প্রতিটি গোলাপ বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, ক্যালেনডোলা ১০ টাকা। তবে ফাল্গুনের দিন দাম বেড়ে ৩০ টাকা থেকে চল্লিশ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে পারে বলে ব্যবসায়ীদের ভাষ্য। যদিও পাইকারি দরে ফুলের দাম অনেকটা কম। গোলাপের ‘শ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৩০০ টাকায়। এছাড়া গাঁদা ফুলের মালা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। জারবেরা ২০ থেকে ২৫ টাকা পিস। হলুদ রঙের ক্যালেনডোলা বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা পিস দরে।

ফাল্গুনসহ উৎসবাদিতে মেয়েদের মাথায় পরা ফুলের রিংয়ের চাহিদা থাকে সবচেয়ে বেশি। সচরাসচ ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হলেও রবিবার ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হতে পারে বলে চানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

শুক্রবার শাহবাগের ফুটপাতে বসে একদল নারীকে এসব রিংসহ ফুলের বিভিন্ন উপহার তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাতে দেখা গেছে। দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে তারা বিভিন্ন ফুলের দোকানের হয়ে এই কাজ করেন।

তুলিকা নামের একটি ফুলের দোকানের মালিক মো. জসিম ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘মাঠ থেকে পাইকাররা ফুল এনে আমাদের দিয়ে যায়। মাঠে যদি দাম বাড়ে তাহলে আমাদের এখানেও দাম বাড়বে। তবে এখন পর্যন্ত যে অবস্থা তাতে দাম খুব একটা বাড়িয়ে বিক্রির সম্ভাবনা নাই। কারণ এমনিতেও এবার ফুল বেশি বিক্রি হবে বলে মনে হয় না।’

(ঢাকাটাইমস/১২ফেব্রুয়ারি/ডিএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

বয়কটের ডাকে অর্ধেকে নেমেছে তরমুজের দাম, তবুও ক্রেতা নেই

দুঃস্থ ও অসহায়দের মাঝে জনতা ব্যাংকের ইফতার সামগ্রী বিতরণ

ঈদ উৎসব মাতাতে ‘ঢেউ’য়ের ওয়েস্টার্ন সংগ্রহ

৮ হাজার কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন একনেকে

সিটি ব্যাংকের ২০২৩ সালের মুনাফা ৬৩৮ কোটি টাকা, বেড়েছে ৩৩%

ঈদ অফারে বিনামূল্যে মিনিস্টারের রেফ্রিজারেটর পেলেন আসাদুজ্জামান সুমন

সোনালী ব্যাংকে ‘বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব ও দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনাসভা

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ৭টি নতুন উপশাখার উদ্বোধন

স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের শ্রদ্ধা

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে কর্মসংস্থান ব্যাংকের শ্রদ্ধা

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :