পদ্মায় অল্পে রক্ষা অর্ধশতাধিক লঞ্চযাত্রীর
দৌলতদিয়ায় মাঝ পদ্মায় লঞ্চডুবির হাত থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন অর্ধশতাধিক যাত্রী। তেলবাহী ট্যাংকারের ধাক্কায় লঞ্চটি নদীতে ডুবে না গেলেও যাত্রীরা লাফিয়ে নদীতে পড়ে ১২ জন আহত হয়েছেন। এ সময় নদীতে থাকা অপর একটি লঞ্চ দ্রুত এসে যাত্রীদের উদ্ধার করে। শনিবার দুপুর ২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের সুপারভাইজার মফিজ উদ্দিন ঢাকা টাইমসকে জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের মাঝ পদ্মায় দৌলতদিয়াগামী এমভি ফ্লাইং বার্ড-২ নামে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ ও ওটিসাংহাই-৪ নামে তেলবাহী একটি ট্যাংকারের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে যাত্রীবাহী লঞ্চের ক্ষতি হলেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চের যাত্রী হারুন অর রশিদ জানান, বরিশাল ক্যান্টনমেন্টে যাওয়ার জন্য তিনি পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়াগামী একটি ওই লঞ্চে উঠেন। নদী পার হওয়ার সময় একটি ট্যাংক দ্রুতগতিতে এসে তাদের লঞ্চে ধাক্কা মারে। ধাক্কায় অনেকে নদীতে পড়ে যান। তিনি জীবন বাঁচাতে সব পোশাক খুলে ফেলেন এবং সাঁতরে আরেকটি লঞ্চে উঠেন। সে সময় কে বা কারা তার ব্যাগপত্র নিয়ে গেছে। আর যারা পড়ে গেছেন, অন্যান্য লঞ্চ এসে তাদের উদ্ধার করে।
ওই লঞ্চের সারেং আবুল হোসেন জানান, পাটুরিয়া প্রান্ত থেকে লঞ্চটি দৌলতদিয়া যাচ্ছিল। মাঝ নদী পার হওয়ার পর দুটি তেলের ট্যাংক পাল্লা দিয়ে যাওয়ার সময় তার লঞ্চে সরাসরি আঘাত করে। এসময় নদীতে কয়েকজন পড়ে গেলেও তারা উঠে আসতে সক্ষম হয়েছেন। তবে লঞ্চের ক্ষতি হয়েছে।
দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট ম্যানেজার মো. নুরুল আনোয়ার মিলন ঢাকা টাইমসকে জানান, পাটুরিয়া থেকে দেড় শতাধিক যাত্রী নিয়ে দৌলতদিয়া ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসা এমভি ফ্লাইং বার্ড-২ লঞ্চটি পদ্মা নদীর মাঝমাঝি অংশ পার হয়ে এলে ওটিসাংহাই-৪ নামে একটি তেলবাহী ট্যাংকার সরাসরি লঞ্চে আঘাত করে। এতে লঞ্চে থাকা কয়েকজন যাত্রী নদীতে পড়ে যান। পরে যাত্রীরা ফেরি ও অন্য লঞ্চে করে উঠে দৌলতদিয়া প্রান্তে আসেন।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো যাত্রী নিখোঁজের খবর পাওয়া যায়নি। তবে লঞ্চের ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া তেলবাহী ট্যাংকারটি মাঝ নদীতে আছে। আল্লাহ সহায় আছেন, তাই বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা হয়নি।
(ঢাকাটাইমস/১৩ফেব্রুয়ারি/এলএ/জেবি)