১০০ ফুট খালের ৯২ ফুটই দখল!

রাজধানীর শ্যামপুর খালের বউবাজার এলাকা অংশে প্রশস্ততা থাকার কথা ছিল ১০০ ফুট। অথচ সেখানে আছে মাত্র আট ফুট। বাকি জায়গা দখল করে অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে পাকা বহুতল ভবন।

রবিবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) অভিযানকালে দেখা গেছে এই চিত্র।

অভিযানকালে দেখা যায়, ১০০ ফুট খালের মধ্যে বাস্তবে আছে আট ফুট। খালের বিভিন্ন অংশ বিভিন্নভাবে দখল করে সেখানে জলপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। দখল-দূষণে খালটিকে বানিয়ে ফেলা হয়েছে মৃতপ্রায়।

অভিযানটির নেতৃত্ব দেন করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ ও তানজিলা কবির ত্রপা।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মেয়র মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা খালের সীমানা নির্ধারণ করেছি। এখন সীমানার মধ্যে থাকা অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হচ্ছে।‘

পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী অভিযানে খালের সীমানার মধ্যে অবৈধভাবে নির্মিত একটি পাঁচতলা ভবনের দুই-তৃতীয়াংশ ভেঙে দেয় ডিএসসিসি। পাশাপাশি আরও ২০টি একতলা বসতঘর ও দোকান উচ্ছেদ করা হয়।

অভিযানে উচ্ছেদকৃত মালামাল স্পট নিলামে ৪২ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। এছাড়া উচ্ছেদে বাধা দেয়ায় এক ব্যক্তিকে দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ১৮৬ ধারায় পাঁচশ টাকা ও মাস্ক না পরায় আরেকজনকে ২৬৯ ধারায় এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ডিএসসিসি’র প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), ঢাকা ওয়াসা, ঢাকা জেলা প্রশাসন ও ডিএসসিসির সার্ভেয়ারগণ যৌথভাবে নদীর সীমানা নির্ধারণ করেছে। জরিপ অনুযায়ী আমরা দেখেছি, খালের মুখ যেখানে মিলিত হওয়া হয়েছে, সেখানে খালের প্রশস্ততা ১০০ ফুট থাকার কথা। কিন্তু বাস্তবে আমরা পেয়েছি আট ফুট। জরিপ অনুযায়ী খালের প্রশস্ততা পুরোপুরি ফিরিয়ে আনতে আমরা কাজ করে চলেছি।‘

ডিএসসিসি’র প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন বলেন, ‘অবৈধ দখলদাররা খাল দখল করে পুরো খালকে একটি সরু নালায় পরিণত করেছিল। খালটি সামনে ও পেছনে বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যার সঙ্গে সংযুক্ত ছিল। আমরা সেই সংযোগ ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু করেছি। মেয়র মহোদয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী উচ্ছেদ কার্যক্রমে কোনো ধরনের ছাড় দেয়া হয়নি, হবেও না।‘

(ঢাকাটাইমস/১৪ফেব্রুয়ারি/কারই/জেবি)