৩ জনকে কুপিয়ে জখম, সেই পরান গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৫:০৭ | আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৫:১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

মা-মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় তিনজনকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম পরানকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। ১৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়ায় একটি বাড়িতে ঢুকে রুহুল কুদ্দুস বাবু, ইয়াসমিন আক্তার ও তার মেয়ে মাহমুদা মেহেরিনকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে অভিযুক্ত পরান। 

এই ঘটনায় আহত রুহুল কুদ্দুস বাবুর বড় বোন বিউটি বেগম যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‍্যাব-১০ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান।

তিনি জানান, ৭-৮ বছর আগে রাজধানীর শনির আখড়া এলাকায় একই রুমে থাকতেন রুহুল কুদ্দুস বাবু ও জাহাঙ্গীর আলম পরান। তখন পাশের ফ্লাটের ইয়াসমিন আক্তারের প্রতি কুদৃষ্টি পড়ে জাহাঙ্গীর আলম পরানের। এতে বাধা দেন বাবু। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাড়ির মালিক পরানকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। সেই ঘটনার জের ধরে মা-মেয়েসহ তিনজনকে চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পরান। পরে মামলা হলে তাকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান বলেন, পরান ক্ষুব্ধ হয়ে বিভিন্ন সময় ইয়াসমিন আক্তার ও তার পরিবারকে ক্ষতি করার চেষ্টা করেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে চাপাতিসহ সে ওই বাসায় যায়। এসময় রুহুল কুদ্দুস বাবু দরজা খুলতেই পরান তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মুখে, কানে, চোখের উপরে, মাথায়, ঘাড়ে ও ডান হাতের তালুতে গুরুতর জখম করে। 

এসময় বাবুর আর্ত চিৎকার শুনে ইয়াসমিন আক্তার ও তার মেয়ে মাহামুদা মেহেরিন বাবুকে বাঁচাতে এলে পরান প্রথমে মেয়ে মাহামুদাকে তার ডান হাতে ও পরে ইয়াসমিন আক্তারের মাথায় গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। এ সময় প্রতিবেশীরা গুরুত্বর জখম অবস্থায় তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। 

পরকীয়ার সম্পর্কের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরকীকার কারণে ঘটনা ঘটেছে এমন কোনো তথ্য আমরা পাইনি।

(ঢাকাটাইমস/১৬ফেব্রুয়ারি/এসএস/কেআর)