মাদারীপুরে পুলিশসহ তিনজনের নামে চাঁদাবাজির মামলা

মাদারীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৮:১২ | প্রকাশিত : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৭:৩৪

মাদারীপুরে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে এক বিকাশ এজেন্টের কাছ থেকে চাঁদা নেয়ার অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তাসহ তিনজনের নামে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইদুর রহমান সাঈদের আদালতে মামলটি করে সুজন শেখ।

সুজন শেখ ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ভাড়ইভাংগা গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে। মামলার আসামিরা হলেন, দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই মাহাবুব ও কনস্টেবল সোহাগ এবং শিবচরের সূর্যনগর এলাকার টুম্পা টেলিকম অ্যান্ড মোবাইল কর্নারের প্রোপাইটর টোকান বেপারী।

মামলার এজাহারের বলা হয়, গত ১৬ ফ্রেব্রুয়া‌রি দুপুর ৩টার দিকে পদ্মাসেতু ভ্রমণ করে মোটরসাইকেলযোগে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন ব্যবসায়ী সুজন। মাঝপথে মাদারীপুরের শিবচরের সূর্যনগর এলাকায় পৌঁছালে সুজনের মোটরসাইকেল থামিয়ে সাদা পোশাকে থাকা দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই মাহাবুব ও কনস্টেবল সোহাগ কাগজপত্র দেখতে চান।

সুজন কাগজপত্র দেখালে তা সঠিক নয় উল্লেখ করে ওই দুই পুলিশ সদস্য এটি চোরাই মোটরসাইকেল বলে দাবি করেন। পরে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন ওই দুই পুলিশ সদস্য। সুজন চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সুজনকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখায় মাহাবুব ও সোহাগ।

পরে সুজনের সঙ্গে থাকা মোবাইল থেকে পাশের টোকান বেপারীর দোকান থেকে বেশ কয়েকটি ম্যাসেজের মাধ্যমে এক লাখ ১০ হাজার টাকা তুলে নেয় ওই দুই পুলিশ সদস্য। পরে এ ঘটনা কাউকে না বলার প্রতিশ্রুতি নিয়ে সুজনকে ছেড়ে দেয়া হয়।

এ ঘটনায় ওই দিনই শিবচর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ কোনো পরামর্শ না দিয়ে চলে যেতে বলে। পরবর্তীতে সুজন শেখ বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার মাদারীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইদুর রহমান সাঈদের আদালতে মামলটি করেন। মামলাটির শুনানি শেষে বিচারক তারিখের জন্য দিন ধার্য রেখেছেন।

মামলার বাদী সুজন শেখ জানান, কোনো কারণ ছাড়াই মোবাইল থেকে বিকাশের মাধ্যমে নগদ এক লাখ ১০ হাজার টাকা তুলে নেয় ওই দুই পুলিশ সদস্য। এর প্রমাণ আদালতে মামলার নথিতে দেয়া হয়েছে। মূলত তারা ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে এই টাকা নিয়েছেন।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. আব্দুল হান্নান জানান, ব্যক্তিগত অপরাধের কোনো দায়ভার বাংলাদেশ পুলিশ নেবে না। যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, মামলার কপি হাতে পেলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৮ফেব্রুয়ারি/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :