‘শেষনবীকে অস্বীকারকারীরা মুসলিম হতে পারে না’

প্রকাশ | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৮:৫৫

ঢাকাটাইমস ডেস্ক

হজরত মুহাম্মাদ সা. কে শেষনবী অস্বীকারকারী কাদিয়ানি সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার খালেক বাজারে সমাবেশ হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মোজাহেদে আজম আল্লামা শামছুল হক ফরিদপুরী ছদর সাহেব হুজুর রহ.-এর পৌত্র মুফতি উসামা আমীন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুফতি উসামা আমীন বলেন, ‘মহানবী সা.কে যারা শেষনবী মানে না তারা কাফের। মুসমলমান হিসেবে বসবাস করার অধিকার তাদের নেই। বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা করা হয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো ঘোষণা না থাকায় তারা মুসলমানের পরিচয় দিয়ে মানুষকে ধোঁকা দিয়ে ঈমানহারা করছে। আজকের সমাবেশ থেকে আমরা সরকারের কাছে স্পষ্ট দাবি জানাচ্ছি অনতিবিলম্বে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা করে সংসদে আইন পাস করতে হবে।’

সমাবেশে মুফতি উসামা আমীন বলেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এ দেশে সব ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে। অন্যান্য ধর্মের লোকেরা যেভাবে রাষ্ট্রের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে কাদিয়ানিরাও অন্য ধর্মের নাগরিক হিসেবে-অমুসলিম হিসেব বসবাস করবে, রাষ্ট্রকে এভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাদের মুসলমান হিসেবে বসবাস করতে দেয়ার কোনো সুযোগ নাই।’

খাদেমুল ইসলাম ইমাম পরিষদ টুঙ্গিপাড়া উপজেলা শাখা আয়োজিত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা শামছুল হক বলেন, ‘দেশের ঈমানদার ধর্মপ্রাণ মুসলমান দীর্ধদিন ধরে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু সরকার এ ব্যাপারে উদাসীন। যার সুযোগে কাদিয়ানি সম্প্রদায় দেশের মধ্যে মানুষদের ঈমানহারা করছে।’

সভাপতির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ‘কাদিয়ানি সম্প্রদায় টুঙ্গিপাড়ার মতো তীর্থভূমিতেও তাদের কার্যক্রম পরিচালনার পাঁয়তারা করছে। যার কারণে ঈমানদার মুসলামানদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অনতিবিলম্বে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে টুঙ্গিপাড়া থেকে তাদের বের করে না দিলে যেকোনো পরিস্থিতির দায়ভার সরকার এবং প্রশাসনকেই বহন করতে হবে।’

মাওলানা আতাউর রহমান ও মুফতি মাকসূদুল হকের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা ফরিদ আহমাদ, মুফতি হুজাইফা আমীন, মাওলানা হায়াত আলী, মুফতি খালেদ সাইফুল্লাহ, মুফতি মুহাম্মাদ তাসনীম, মাওলানা ফখরুল আলম, মাওলানা নাজির বিন হাশেম প্রমুখ নেতারা।

(ঢাকাটাইমস/১৯ফেব্রুয়ারি/জেবি)