রাজবাড়ীতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বেরুলি গ্রামের এক স্কুলছাত্রীকে(১৫) বিয়ের মিথ্যা প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণ করার অভিযোগে মামলা হয়েছে আদালতে। মামলার আসামি একই গ্রামের আব্দুল জলিল মীরের ছেলে কলেজ পড়ুয়া আলামীন মীর(২১)।
এই ঘটনার বিচার চেয়ে নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েও বিচার না পয়ে ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর বাবা রাজবাড়ী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্য্ইাব্যুনালে বৃহস্পতিবার মামলা করেছেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়েছেন।
মামলার বাদী বলেন, তার মেয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রী। স্কুলের যাওয়া আসার পথে একই গ্রামের আব্দুল জলিল মীরের ছেলে, সোনাপুর মীর মশাররফ হোসেন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আলামীন প্রায়ই এই ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করত। এ বিষয়ে আলামীনের বাবা-মার কাছে বিচার দিয়েও কোনো কাজ হয়নি। বরং এতে আলামীন মীর ক্ষীপ্ত হয়ে ভিন্ন কৌশলে মেয়েকে পবিত্র কোরআন শরীফ ছুঁয়ে বিয়ের নামে মিথ্যা শপথ করে এবং একাধিকবার ধর্ষণ করে।
সবশেষ গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ওই আলামীন মীর বাদির বাড়িতে ঢুকে তার মেয়েকে ধর্ষণ করলে মেয়ের চিৎকারে তার মা, ভাই ও প্রতিবেশীরা এসে আলামীনকে আটক করে। এরপর চেয়ারম্যান আলী হোসেন শালীসের আশ্বাস দিয়ে আলামীনকে ছাড়িয়ে নেন। কিন্তু তিন দিন পরেও কোনো বিচার হয়নি।
এদিকে আলামীন মীরের এক প্রভাবশালী আত্মীয় বহরপুর বাজারের পাট ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদ এই মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি দিচ্ছেন বলে মামলার বাদী অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে নবাবপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য হায়াত আলী জানান, ঘটনার রাতে সংবাদ পেয়ে ওই মেয়ের বাড়িতে যান। আলামীন মীর নামের ছেলেটিকে ওই বাড়ির লোকজন ও প্রতিবেশীরা আটকে রেখেছে দেখেছেন। তিনি এ বিষয়ে চেয়ারম্যানের কাছে নালিশ জনানোর জন্য পরামর্শ দিয়ে চলে গেছেন পরে।
(ঢাকাটাইমস/১৯ফেব্রুয়ারি/কেএম)