চারণকবি বিজয় সরকারের জন্মদিন আজ
একুশে পদকপ্রাপ্ত চারণকবি বিজয় সরকারের ১১৯তম জন্মদিন আজ ।অসাম্প্রদায়িক চেতনার সুরস্রষ্টা কবিয়াল বিজয় সরকার ১৯০৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি নড়াইল সদরের নিভৃতপল্লী ডুমদি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
শিল্পকলায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৩ সালে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত হন তিনি। তার বাবার নাম নবকৃষ্ণ অধিকারী ও মা হিমালয়া দেবী। বিজয় সরকার নবমশ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন, মতান্তরে মেট্রিক পর্যন্ত। তিনি একাধারে গীতিকার, সুরকার ও গায়ক। মুক্তিযুদ্ধের গানসহ ১৮০০টির বেশি গান লিখেছেন তিনি। তার গানের কথা ও সুরের মাঝে বিজয় সরকার আজো বেঁচে আছেন হাজারো মানুষের হৃদয়ে।
প্রকৃত নাম বিজয় অধিকারী হলেও সুর, সঙ্গীত ও অসাধারণ গায়কী ঢঙের জন্য ‘সরকার’ উপাধি লাভ করেন। তবে ‘পাগল বিজয়’ হিসেবে সমধিক পরিচিত তিনি।
বার্ধ্যকজনিত কারণে ১৯৮৫ সালের ৪ ডিসেম্বর ভারতের হাওড়ার বেলুডে পরলোকগমন করেন। পশ্চিমবঙ্গের কেউটিয়ায় তাকে সমাহিত করা হয়।
বিজয় সরকারের লেখা এই গানের মধ্যে রয়েছে- যেমন আছে এই পৃথিবী/তেমনিই ঠিক রবে/সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে একদিন চলে যেতে হবে, মায়ার বাঁধন ছেড়ে পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেয়ায় এই চিরন্তন উপলদ্ধি আজো মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যায়,তুমি জানো নারে প্রিয়/তুমি মোর জীবনের সাধনা, নবী নামের নৌকা গড়/আল্লাহ নামের পাল খাটাও/বিসমিল্লাহ বলিয়া মোমিন/কূলের তরী খুলে দাও, পোষা পাখি উড়ে যাবে সজনী/ওরে একদিন ভাবি নাই মনে/সে আমারে ভুলবে কেমনেসহ অসংখ্য গান।
পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের ‘নকশী কাথার মাঠ’ কাব্যগ্রন্থের রূপাই ও সাজুর প্রেমকাহিনী নিয়ে বিজয় সরকার গেয়েছেন- নকশী কাঁথার মাঠেরে/সাজুর ব্যাথায় আজো রে বাজে রূপাই মিয়ার বাঁশের বাঁশি, কী সাপে কামড়াইলো আমারে/ওরে ও সাপুড়িয়ারে/আ...জ্বলিয়া পুড়িয়া মলেম বিষে।
(ঢাকাটাইমস/২০ফেব্রুয়ারি/পিএল)