বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ: প্রেক্ষিত ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা

এস এম জাহাঙ্গীর আলম সরকার
 | প্রকাশিত : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২২:৩৮

নিজস্ব সংস্কৃতির পরিপক্বতার মধ্য দিয়ে একটি জাতিসত্তা তার চূড়ান্ত রূপ লাভ করে। যে জাতির সংস্কৃতি যত ঋদ্ধ, নিজস্বতায় পরিপূর্ণ, সে জাতির জাতিসত্তা তত বলিষ্ঠ ও সুদৃঢ় বন্ধনে তেজোদীপ্ত। হাজার বছরের চক্রবাঁকে ঘুরতে ঘুরতে সমধিক উৎকর্ষিত হয়ে পথচলার চূড়ান্ত বাঁকে এসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে বাঙালি জাতিসত্তা চূড়ান্ত রূপ লাভ করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সে কারণেই হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে সম্মানিত করা হয়। বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিভিন্ন পরিমণ্ডলে এ দেশের কবি-সাহিত্যিক, শিল্পী-বাউল এক কথায় সাহিত্য ও সংস্কৃতিকর্মীদের ভূমিকা জাতিসত্তা গঠনে অনন্য। আমাদের স্বাধীনতার চার দশক পূর্ব পর্যন্ত সময়ে এসে পূর্বসূরিরা জাতি গঠনের যে প্রেক্ষাপট তৈরি করতে পেরেছিলেন তার ঐতিহাসিক গুরুত্ব অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে স্বীকার্য। চল্লিশের দশকে যখন রাজনৈতিকভাবে আমরা স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি সে স্বপ্নের অন্যতম সঞ্চালক আমাদের সংস্কৃতিগতভাবে গড়ে ওঠা বাঙালি জাতিসত্তার অন্তর্নিহিত গতিশক্তি। ভিশনারি নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর অন্তর্দৃষ্টি ছিল খুবই তীক্ষ্ণ। সেই সঙ্গে সংস্কৃতির প্রতি ছিল তাঁর প্রগাঢ় দুর্বলতা, আন্তরিকতা, ভালোবাসা।

অগ্রজ সতীর্থদের সঙ্গে যূথবদ্ধ হয়ে রাজনীতির যে পর্যায়ে এসে বঙ্গবন্ধু নিজ হাতে ছাত্রলীগের জন্ম দিলেন, তখনই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল বঙ্গবন্ধুর মনস্তত্ত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রশ্নে যোগ্য নেতৃত্বের দায়িত্ব তিনি তাঁর নিজের কাঁধেই তুলে নেন। ১৯৪৮ থেকে ’৫২ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানি শাসকরা আমাদের সংস্কৃতি এবং জাতিসত্তার মূল উপাদান ভাষার ওপর যখন আঘাত করার পরিকল্পনা নিয়ে শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে যাচ্ছিল, ঠিক সে সময় বঙ্গবন্ধু তাঁর ছাত্রলীগকে প্রস্তুত করার কাজটিও সমানতালে এগিয়ে নেন। ১৯৪৮ সালের ৪ মার্চ কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা করলে ছাত্রলীগসহ অন্যান্য ছাত্র-জনতা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। অন্যায় ঘোষণার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানান। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের জন্মের ২ মাসের মাথায় সংস্কৃতি তথা মাতৃভাষা রক্ষার উত্তাল আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করে।

বঙ্গবন্ধু ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে নিজেকে নিবেদিত রেখে ভারতবর্ষের রাজনীতি সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হলেও তিনি জানতেন পাকিস্তানি শাসকরা তৎকালীন পূর্ব বাংলার মানুষের সঙ্গে কী আচরণ করতে পারেন। রাজনৈতিকভাবে সেটির মোকাবেলা করার লক্ষ্যেই তিনি ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি নিজ হাতে ছাত্রলীগের জন্ম দেন। আর ধর্ম, বর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী সবার সম-অধিকার, সমসম্মান বিবেচনা করে আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে বেরিয়ে ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দর্শনে ১৯৪৯ সালে আওয়ামী লীগের জন্ম দেন।

বীর ভাষাসৈনিক প্রাবন্ধিক ও কবি আহমদ রফিক তাঁর 'বায়ান্ন, একাত্তরের অঙ্গীকার যেন ভুলে না যাই' প্রবন্ধে একই অনুভূতির দারুণ অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন। আলোচনায় বলেন- "একুশের প্রেক্ষাপট অনেক বিস্তৃত ও তাৎপর্যপূর্ণ এবং বাঙালির জাতীয় জীবনে বাঁক পরিবর্তনের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই রচিত হয় আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের মহান অধ্যায় একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ পর্ব।... পাকিস্তান রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠার অব্যবহিত পর ভাষার দাবিতে এ দেশের মানুষ আন্দোলন শুরু করে। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট। এর আগে পাঞ্জাবের মুসলিম লীগ নেতা চৌধুরী খালিকুজ্জামান বলেন, পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু। আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জিয়াউদ্দিনও উর্দুর পক্ষে সাফাই গাইলেন। সঙ্গে সঙ্গে এর প্রতিবাদ করলেন বাঙালি লেখক, বুদ্ধিজীবীরা।... এ নিয়ে প্রথমে লিখলেন আবদুল হক। এরপর ড. মুহাম্মদ এনামুল হক, ফখরুল আহমদ প্রমুখ। ১৯৪৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে গণপরিষদে ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব পেশ করেন।"

প্রখ্যাত ফোকলোর তাত্ত্বিক শামসুজ্জামান খান তার নির্বাচিত প্রবন্ধ আলোচনায় বলেন- "ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে যে নতুন বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার সৃষ্টি হয় তার ফলেই পাকিস্তান গণপরিষদের পূর্ববাংলার জনপ্রতিনিধি ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত সর্বপ্রথম ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৮ পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলার দাবি তুলে ধরেন এবং তখনকার পূর্ব বাংলার তরুণ জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা শেখ মুজিবুর রহমান গণপরিষদে ঘোষণা করেন- I will here and now speak in Bengali and nobody can prevent me from doing that. 'পূর্ব বাংলার' নাম পরিবর্তন করে পূর্ব পাকিস্তান করার প্রতিবাদে শেখ সাহেব গণপরিষদে বলেন - So far as the changing of name is concerned, we would like to be called ourselves as Bengali."

যা হোক, বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় গাজীউল হকের সভাপতিত্বে যে ঐতিহাসিক ছাত্র সমাবেশ হয়, মূলত সেখানেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় ১৪৪ ধারা কীভাবে ভাঙ্গা হবে, ১০ জন করে করে দলে দলে বিভক্ত হয় কীভাবে কার নেতৃত্বে মুভমেন্ট করবে। সুফিয়া ইব্রাহিমের নেতৃত্বে একটি নারী দল শাফিয়া খাতুন, রওশন আরা বাচ্চু প্রমুখ একইভাবে এই আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। ২১ এবং ২২ ফেব্রুয়ারি যাঁরা ভাষার জন্য জীবন দেন তাঁরা হলেন সালাম, বরকত, শফিউর রহমান, জব্বার ও কিশোর অহিউল্লাহ। আহত হয়েছিলেন অগণিত ছাত্র-জনতা, আমার পরম শ্রদ্ধেয় ভাষাসৈনিকেরা।

শক্তির বিচারে বাংলা সংস্কৃতির চরম শক্তিমত্তার প্রকাশ পায় ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে ভাষার মর্যাদা রক্ষায় বাঙালি জাতি যে অসামান্য বিজয় অর্জন করে, এক কথায় তা অনন্য এবং বিশ্বের নজিরবিহীন ঘটনা। ভাষা আন্দোলনে বিজয়ের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা অর্জিত হয় এবং বাঙালির চেতনায় বিপ্লবী আত্মবিশ্বাসের যে কঠিন উচ্চতা তৈরি হয়, তার প্রবহমানতা কবি-সাহিত্যিক, শিল্পী-সংস্কৃতিকর্মীদের মধ্যে দারুণ গতি সঞ্চারই শুধু করেনি লেখালেখিতে শুরু হয়ে গেল ধারালো নতুন মাত্রা। ঢাকায় গোলাগুলির খবর পেয়ে চট্টগ্রামের সংস্কৃতিকর্মী, রাজনীতিক, কবি মাহবুব উল আলম চৌধুরী লিখলেন একুশের প্রথম কবিতা, ‘কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবী নিয়ে এসেছি’।

ইতিহাস বিশ্লেষণে জানা যায় ১৯৫৩ থেকে ’৫৫ সাল পর্যন্ত প্রভাতফেরিতে যে গানটি গাওয়া হতো তা বঙ্গবন্ধুর অনুরোধে ভাষা আন্দোলনের ওপর লেখা গাজীউল হকের গান- ‘ভুলবো না, ভুলবো না, একুশে ফেব্রুয়ারি, ভুলবো না’। গানটির সুর ও শব্দচয়নে কিছু দুর্বলতা থাকায় পরবর্তীকালে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী রচিত ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানটি প্রথম সুর করেন বিশিষ্ট শিল্পী আব্দুল লতিফ ১৯৫৩ সালে। আতিক, মুমিনুন্নেসাসহ তিনি ঢাকা কলেজের ’৫৩-র একুশে ফেব্রুয়ারিতে গানটি পরিবেশন করেন। ’৫৬-৫৭ সালে বিশিষ্ট সুরকার শিল্পী আলতাফ মাহমুদ গানটিতে সুরারোপ করেন এবং সে সুরেই গানটি অমরতা লাভ করে।

অন্যদিকে মুনীর চৌধুরী ১৯৫৩ সালে জেলখানায় বসে ভাষা আন্দোলনের ওপর বিখ্যাত 'কবর' নাটক রচনা করেন এবং সে বছরেই জেলখানার মধ্যে আলো-আঁধারি পরিবেশে নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। জানা যায় যে বন্দিনী নলিনী দাস, অজয় রায় প্রমুখ অংশ নেন তাতে।

ভাষা আন্দোলনের ওপর লেখা প্রথম উপন্যাস জহির রায়হানের ‘আরেক ফাল্গুন’। টগবগে চেতনায় শহীদদের স্মৃতিকে অমর করে রাখার লক্ষ্যে ’৫২-র ২৩ ফেব্রুয়ারি বিকেল বেলা শহীদ মিনার তৈরি করার কাজ শুরু হয়। শহীদ শফিউরের বাবা ২৪ ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনারটি উদ্বোধন করেন।

ভাষা আন্দোলনের বিজয় বাঙালি জাতিকে নতুন শক্তি সঞ্চার করলে মুক্তির নেশায় বাঙালির রাজনৈতিক চেতনা আরো বেশি বেগবান হতে শুরু করল। ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসন জারি করলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ছক কষতে শুরু করেন। এরপর ১৯৬১ সালে ছাত্রলীগকে গ্রিন সিগনাল দিয়ে ১৯৬২ সালে তৎকালীন ছাত্রনেতা সিরাজুল আলম খান, আব্দুর রাজ্জাক, কাজী আরেফ আহমেদ ও শেখ ফজলুল হক মনির সমন্বয় গঠন করেন স্বাধীনতার নিউক্লিয়াস। ‘জাগো জাগো, বাঙালি জাগো’, ‘তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা মেঘনা যমুনা’, তাদের হাতে নির্মিত স্লোগানগুলো বাংলার মানুষের অন্তরে বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে। ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় বঙ্গবন্ধু ১৯৬৬ সালে বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা ঘোষণা করলে তদানীন্তন সামরিক শাসক আইয়ুব খান তার প্রতিক্রিয়ায় অস্ত্র দিয়ে তা মোকাবেলা করার হুমকি দেন। তখন বঙ্গবন্ধুর জনসমাবেশে লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতি দেখে ভীতসন্ত্রস্ত গভর্নর মোনেম খাঁ তাকে বারবার গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশের এক জেলা থেকে অন্য জেলার কারাগারে স্থানান্তর করে করে আটকে রাখার কৌশল নেয়। তাতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তা আরও বেশি বাড়তে থাকলে আবারও অস্ত্র দিয়ে মোকাবেলা করার ভয় দেখানো হয়। বঙ্গবন্ধু হুংকার দিয়ে সামরিক জান্তার মুখোমুখি হলে ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে জুন মাসে প্রাণ বিসর্জন দেয় বাংলার শ্রমিক। এ প্রেক্ষাপটে শ্রমিক আন্দোলন মূলধারায় যুক্ত হয়ে গেল। ছয় দফার অন্তর্নিহিত দর্শন মূলত পর্যায়ক্রমে বাংলার স্বাধীনতা আন্দোলনকেই অনিবার্য করে তোলা। উপায়ন্তর না দেখে পাকিস্তানি শাসকরা বঙ্গবন্ধুকে প্রধান অভিযুক্ত করে আগরতলা মিথ্যা ষড়যন্ত্র মামলা দিলে, জনগণ আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের প্রাণপ্রিয় নেতাকে মুক্ত করে আনেন। গণরোষে সে সময় পালিয়ে যায় তথাকথিত বিচারকেরা।

লোকসংস্কৃতি বিজ্ঞানী শামসুজ্জামান খানের ভাষায়- ''এভাবেই ঊনসত্তরের গণআন্দোলন, ১৯৭০ সালে বাঙালির সার্বিক জাগর চেতনার প্রতীকধর্মী স্লোগান 'জয় বাংলা' এবং গণভোটপ্রতীম নির্বাচন এবং ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ। এই তিনেরই মারমুখী যোদ্ধা পূর্ব বাংলার জনতা, আর তিনেরই মূলনেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৬৯-এর ২৩ ফেব্রুয়ারি এক গণসংবর্ধনায় তাঁকে 'বঙ্গবন্ধু' আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতৃপদে বরণ করা হয়। অতএব, সংগতভাবেই স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের জনক তিনি। তবে এলাম, দেখলাম, জয় করলাম- এমনি করে হয়নি। দীর্ঘকাল জেল-জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে অনেক চিন্তাভাবনা করে ধাপে ধাপে সংগ্রামের সাফল্য লাভ করে 'জাতির পিতা'র অভিধা অর্জন করেছেন তিনি।" একুশ এবং স্বাধীনতা তথা মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা ধারণ, লালন পালন ও আন্তরিকতার সঙ্গে বাস্তবায়নে নিজেকে প্রস্তুত করেই কেবল বাঙালি পরিচয় বহন করা সম্ভব। পরিবার, পাঠ্যপুস্তক, শিক্ষক, সমাজ, গণমাধ্যম ও জ্ঞানী-গুণী মানুষকে এ গুরুদায়িত্ব নিয়ে কার্যকরী ভূমিকা পালনে আন্তরিক হতে হবে এবং প্রজন্ম পরম্পরায় এ আলো নবীনদের মাঝে অত্যাবশ্যকীয় শিক্ষণীয় হিসেবে ছড়িয়ে দিতে পারলেই কেবল বাঙালি হিসেবে এবং বাঙালি সংস্কৃতির নির্যাসিত জাতিসত্তায় গর্বিত বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা উচুঁ করে বেঁচে থাকবে অনন্তকাল।

লেখক: পুলিশ সুপার, প্রাবন্ধিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :