‘আলেম ও আধুনিক শিক্ষিতদের বিভাজন ঔপনিবেশিক ষড়যন্ত্র’

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
| আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৮:৫৩ | প্রকাশিত : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৮:৫১
আল নূরের নির্বাহী পরিচালক মাওলানা ইউসুফ নূর

কাতারের আল নূর কালচারাল সেন্টারের গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগ আয়োজিত কর্মশালায় আলোচকরা বলেছেন, বাংলাদেশে প্রচলিত ঔপনিবেশিক আমলের ত্রিমুখী শিক্ষাব্যবস্থা জাতির মাঝে বিভাজন তৈরি করে রেখেছে। দেশ জাতি ও উম্মাহর স্বার্থেই ধর্মীয় ও আধুনিক শিক্ষিতদের সহাবস্থান একান্ত প্রয়োজন। জ্ঞানী ও গবেষকরা জাতির পরম সম্পদ। দল মত ও ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে তাদের সম্মান ও সহায়তা করা করা রাষ্ট্র এবং সমাজের কর্তব্য।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দোহা জাদিদ মসজিদে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন আল নূর গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক আমিনুল হক। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আল নূর কালচারাল সেন্টারের মহাপরিচালক প্রকৌশলী শুয়াইব কাসেম। প্রধান আলোচক ছিলেন নির্বাহী পরিচালক মাওলানা ইউসুফ নূর।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আল নূর শিক্ষা বিভাগের সহযোগী পরিচালক ও বাংলাদেশ স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক আবু শামা আর বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন আল নূর গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের সহকারী পরিচালক ও কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতি ছাত্র মাওলানা আবু তালেব।

গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের সদস্যদের মধ্যে আলোচনা করেন প্রকৌশলী ওয়ালিদ ভুঁইয়া, ড. ইউসুফ আল কারজাভী কার্যালয়ের শরিয়াহ গবেষক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, কাতার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ইমাম মাওলানা আমিনুর রহমান ও বাংলাদেশ স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক তাফসিরুদ্দিন প্রমুখ।

প্রকৌশলী শুয়াইব কাসেম বলেন, আল নূর অরাজনৈতিক অলাভজনক ও স্বেচ্ছাসেবক প্রতিষ্ঠান। কমিউনিটির উন্নয়নের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন আমাদের আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য।

মাওলানা ইউসুফ নূর তার লিখিত বক্তব্যে গবেষণার ইতিবৃত্ত, ইসলামে জ্ঞান গবেষণার মর্যাদা ও গুরুত্ব এবং বিশ্ব সভ্যতার উন্নয়নে মুসলিম গবেষকদের অবদান তুলে ধরে বলেন, কুরআনে শুধু ইলম শব্দটি ৭৭৯ বার এসেছে। ধর্মীয় জ্ঞানের পাশাপাশি জাগতিক শিক্ষা ও সৃষ্টি গবেষণার প্রতি উৎসাহ দেয়া হয়েছে। সোনালী যুগের মুসলিম বৈজ্ঞানিক ও গবেষকরা উভয় বিষয়ে পারদর্শী ছিলেন। শুধু মুসলিম বিশ্ব নয় ইউরোপীয় রেনেঁসার পেছনেও তাদের অবদান অনস্বীকার্য।

তিনি আরও বলেন, উপযুক্ত শিক্ষাব্যবস্থার অভাবে পুর্বসূরিদের মতো আমরা উভয় ক্ষেত্রে দক্ষ হতে পারব না এটা সত্য, তবে আলেম ও আধুনিক শিক্ষিতদের সমন্বিত জ্ঞান গবেষণা অবশ্যই জাতির জন্য সুফল বয়ে আনবে।

কর্মশালায় বিভাগের বিগত কার্যক্রমের পর্যালোচনা শেষে সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে গবেষণা ও প্রকাশনা কর্মসূচি ২০২১ ঘোষণা করা হয়। সে অনুযায়ী প্রকাশনা তালিকায় রয়েছে, সংক্ষিপ্ত তাফসির ও হাদিস সংকলন, বাংলাদেশে ইসলাম প্রবেশের ইতিহাস শীর্ষক আরবি গ্রন্থ, কাতারের বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রীদের লিখনি, তিন ভাষায় প্রশ্নোত্তরে বাংলাদেশ শীর্ষক কুইজ বই, কাতারের আইন কানুন এবং শ্রমিকের কর্তব্য ও অধিকার বিষয়ক প্রচারপত্র তৈরি, সিরাতুন্নবী ওয়েবসাইটের উদ্বোধন এবং আল কুরআন প্রকাশ ও বিতরণ।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আমিনুল হক ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়নে সদস্য ও পৃষ্ঠপোষকদের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।

(ঢাকাটাইমস/২১ফেব্রুয়ারি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

প্রবাসের খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :