ময়মনসিংহে প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোরদের ভালোবাসার শহীদ মিনার

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৯:১০

‘বড়রা বড় শহীদ মিনারে যায়। আমরা আমাদেরটায় ফুল দিই। নিজের হাতে বানাইছি, আলাদা ভালো লাগা আছে না? আমরা তো আর বড় মানুষ না, তাই আমাদের শহীদ মিনার বড় না।’

এই বলে নাজমা আক্তার রানি তাকায় তাদের হাতে গড়া ভালোবাসার শহীদ মিনারের দিকে। প্রতিবছর শহর-গ্রামের শিশু-কিশোররা কলাগাছ-ইট, কাঠ-বাঁশ ও কাগজ দিয়ে এভাবে তৈরি করে ভালোবাসার শহীদ মিনার।

ময়মনসিংহে বাঁশ দিয়ে যে শিশুরা শহীদ মিনার তৈরি করেছে তাদের কেউ বাক প্রতিবন্ধী, কেউবা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, কেউ আবার শারীরিকভাবে চলাচলে অক্ষম। কিন্তু তাদের মনে আছে অদম্য ইচ্ছা আর ভালোবাসা। সেই ইচ্ছা থেকেই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মহান ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে নিজেরাই তৈরি করেছে শহীদ মিনার। বাঁশ দিয়ে কৃত্রিমভাবে বানানো শহীদ মিনারের নাম দিয়েছেন তারা ‘ভালোবাসার মিনার’।

রবিবার সকাল ১০টায় ময়মনসিংহ নগরীর খাগড়হর এলাকায় মরহুম আজিজুল হক ইনক্লুসিভ স্পোর্টস অ্যান্ড এডুকেশন একাডেমি প্রাঙ্গণে নিজেদের তৈরি এই মিনারের বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন কোমলমতি এসব শিশু, যাদের প্রত্যেকের বয়স পাঁচ থেকে ১৭ বছর।

এ সময় সাউন্ড বক্স থেকে ভেসে আসা চির অম্লান সেই গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/ আমি কি ভুলিতে পারি’-এর সঙ্গে কণ্ঠ মেলায় সবাই।

নাজমা আক্তার রানি, সুমাইয়া, নাজনীনসহ কথা হয় কয়েকজনের সঙ্গে। তারা বলে, আমরা যে ভাষায় কথা বলতে পারছি, তা সম্ভব হয়েছে ভাষাশহীদদের আত্মত্যাগের কারণে। তাই আমরা নিজেরাই শহীদ মিনার তৈরি করে ও বেদিতে ফুল দিয়ে সেই সময়ের শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়েছি।

মরহুম অ্যাডভোকেট আজিজুল হক ইনক্লুসিভ স্পোর্টস অ্যান্ড এডুকেশন একাডেমির সভাপতি সাজেদুল হক হিমেল বলেন, তাদের প্রচন্ড আগ্রহ থেকেই এমনটি করেছে তারা। আমাদের এখান থেকে শহীদ মিনারটি একটু দূরে হওয়ায় যাতায়াতে অসুবিধার কথা ভেবে শিশুরাই এখানে অস্থায়ী শহীদ মিনারটি করেছে। এটি ভাষাশহীদদের প্রতি তাদের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।

(ঢাকাটাইমস/২১ফেব্রুয়ারি/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :