নানা আয়োজনে কাতারে মাতৃভাষা দিবস পালিত

প্রকাশ | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২০:৫১

ঢাকাটাইমস ডেস্ক

বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে কাতারে পালিত হলো মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। করোনা মহামারির কারণে বিধিনিষেধ মেনে ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গনে দিবসটি উপলক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও আয়োজনের অংশ হিসেবে কাতারে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের অংশগ্রহণে অনলাইনে বাংলা ভাষায় বক্তৃতা প্রতিযোগিতা ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

বক্তৃতা প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জসীম উদ্দিন।

এই প্রতিযোগিতায় মোট তিনটি গ্রুপে তিনজন করে নয়জন প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। বিজয়ীরা হলেন উম্মে হানি, সাবরিন জাহান সারা, সামিয়া আকতার, মো. দিদার উজ্জামান, মহসিন, মাহজেবিন বিনতে হাসান, মাইশা জামান, রাহনুমা আন্জুম এবং মাহমুদুল আলম।

অন্যদিকে কুইজ প্রতিযোগিতায় মোট ১০ জন প্রতিযোগী সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। বিজয়ীরা হলেন দুররিয়া আলিশা, ফকরুল আলম, বিল্লাল হোসেন, মিফতাহুল ফালহা, ওবাইদুল্লা আল রাফি, জান্নাতুল মাওয়া, মাহমুদুর রহমান, কামাল উদ্দিন, কামাল হোসেন ও জাহাঙ্গীর কবির।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাষা শহীদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। ভাষা শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতাও পালন করা হয়। পরে দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।

আলোচনায় অংশ নিয়ে কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জসীম উদ্দিন বায়ান্নর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সূচনা হয়। যার ফলশ্রুতিতে ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় প্রবাসীদের অবদান রাখার আহ্বান জানিয়ে আরও বলেন, এ অবদানের মধ্য দিয়ে ভাষা শহীদ এবং স্বাধীনতার সূর্য সন্তানদের আত্মত্যাগের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা সম্ভব হবে। তিনি করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের সাফল্য এবং অনেক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সাফল্যের কথা উল্লেখ করেন। প্রবাসে বাংলাদেশের ইতিবাচক অর্জনসমূহ তুলে ধরার ওপর গুরুত্বারোপ করেন রাষ্ট্রদূত।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে দূতাবাস কর্তৃক গৃহীত কর্মসূচি প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ‘বঙ্গবন্ধু সংলাপ’ নামে একটি সাক্ষাৎকার সিরিজের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যেখানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, কাতারের বিভিন্ন পেশাজীবী শ্রেণি, নারী উদ্যোক্তা ও নতুন প্রজন্মের শিশু কিশোরদের অংশগ্রহণ থাকবে। এছাড়া সমকালীন এবং সর্বকালীন প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধু শীর্ষক একটি ভিডিও চিত্র নির্মাণেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

এর আগে দোহাস্থ বাংলাদেশ এমএইচএম স্কুল ও কলেজে রাষ্ট্রদূত মো. জসীম উদ্দিন জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। এ সময় দূতাবাসের কাউন্সিলর ড. মো. মুস্তাফিজুর রহমান, কাউন্সিলর মো. নাজমুল হাসান, কাউন্সিলর মো. মাহবুর রহমান, প্রথম সচিব তন্ময় ইসলাম, স্কুলের পরিচালক মো. আনোয়ার খুরশীদ, অধ্যক্ষ মো. জসীম উদ্দিনসহ শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/২১ফেব্রুয়ারি/বিইউ/জেবি)