নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে না মানতে রাজি নন সিইসি

প্রকাশ | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৮:৩২ | আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৮:৩৩

যশোর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

দেশে স্থানীয় সরকারের যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেগুলো সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক হচ্ছে বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভিড়, বিশেষ করে নারী ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতিই নির্বাচন সঠিক ও প্রতিযোগিতামূলক হওয়ার প্রমাণ বলে মনে করেন তিনি। এজন্য সুষ্ঠু হচ্ছে না বলে যে অভিযোগ তা মানতে রাজি নন সিইসি।  

সোমবার যশোরের কেশবপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিইসি এসব কথা বলেন। কেশবপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সিইসি সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় বলেন।

কয়েক ধাপের পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনে এতকিছুর মধ্যেও ৬৬ পারসেন্ট, ৬৫ পারসেন্ট, ৬৭ পারসেন্ট লোক ভোট দেয়। আপনারাই বলেন, মহিলাদের উপচেপড়া ভিড়, লাইন ধরে মহিলারা ভোট দিচ্ছে। নির্বাচনের পরিবেশ-পরিস্থিতি যখন ভালো থাকে, যখন নিরাপদ থাকে, তখনই তো মহিলাদের উপস্থিতি লক্ষণীয় হয়। সুতরাং আমাদের এখানে নির্বাচন সঠিক হচ্ছে, প্রতিযোগিতামূলক হচ্ছে।’

বিক্ষিপ্ত সহিংসতার ব্যাপারে সিইসি বলেন, ‘পৃথিবীর সব নির্বাচনে তা হয়। ভারতে হয়, নেপালে হয়, শ্রীলঙ্কায় হয়, সুদানে হয়, মেক্সিকোতে হয়, ইভেন (এমনকি) আমেরিকাতেও হয়। যত প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হয়, মানুষের মধ্যে তত সহনশীলতার অভাব দেখা দেয়। ফলে কোথাও কোথাও ঘটনা ঘটে যায়। তখন সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিবেশ-পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ফলে নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে না, মানুষ ভোট দিচ্ছে না, প্রতিযোগিতামূলক হচ্ছে না—     এসব কথা একেবারে মানতে রাজি না আমি।’

সিইসি বলেন, ‘যশোরের কেশবপুর পৌরসভা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করা হবে। নির্বাচনের পরিবেশ অত্যন্ত ভালো। এখানে কোনো ঝুঁকি নেই। ইভিএমে ভোট প্রদানে ভোটারদের কোনো অসুবিধা হবে না। বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোটারদের ভোট প্রদান সম্পন্ন না হলে লাইনে যারা থাকবেন তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।’

যশোর জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর প্রকল্প পরিচালক ব্রিগ্রেডিয়ার আবুল কাশেম, যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, বিভাগীয় নির্বাচন কর্মকর্তা ইউনুচ আলী, যশোর জেলা নির্বাচন অফিসার হুমায়ূন কবির ও কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন।

(ঢাকাটাইমস/২২ফেব্রুয়ারি/জেবি)