শত্রুতার জেরে ধানের চারা নষ্ট করার অভিযোগ

প্রকাশ | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২১:২২

ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নওগাঁর ধামইরহাটে পূর্ব শত্রুতার বলি হয়েছে বোরো ধানের চারা! সবে মাত্র গজিয়ে উঠা ধানের চারাগুলোকে ক্ষতিকারক কীটনাশক ছিটিয়ে পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।

উপজেলার উমার ইউনিয়নের চৌঘাট কাগজকুটা নামক গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কৃষি কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী কৃষক।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চৌঘাট এলাকার আহাদুল ইসলাম ও পার্শ্ববতী আলমপুর ইউনিয়নের বীরগ্রাম এলাকার এনামুল ইসলামের মাঝে দীর্ঘদিন জমির মালিকানা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে গত রবিবার দিবাগত রাতে এনামুল ইসলাম ও তার ভাই নজরুল ইসলামসহ আরো কয়েকজন মিলে দেড় একর জমিতে কীটনাশক ঢেলে দেন।

এতে রোপণকৃত ধানের চারাগুলো হলদে হয়ে বিবর্ণ রং ধারণ করে। এ ঘটনায় কৃষকের এক লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন। প্রশাসনের নিকট সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান ক্ষতিগ্রস্ত আহাদ।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কৃষক আহাদুল ইসলাম বলেন, আমরা ক্রয় সূত্রে ওই জমি প্রায় ৫০ বছর যাবৎ ভোগ দখল করে আসছি। কিছু ব্যক্তি আমাদের জমি বর্গা করার নামে জাল দলিল তৈরি করে ওই জমি নিজের বলে দাবি করেন।

এলাকার বাসিন্দা আবদুল করিম বলেন, আমি অনেক বছর ধরেই ওই জমি দেখভাল করে আসছি এবং আহাদুল ইসলামকে চাষাবাদ করতে দেখেছি। আসলে থানায় কাগজপত্র যাচাই-বাছাইকরণে অভিযুক্ত এনামুল ইসলামের কাগজপত্র ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত এনামুল ইসলাম বলেন, জমিতে কীটনাশক দেয়ার বিষয়টি পুরোপুরি একটা সাজানো ঘটনা। এ ঘটনার সঙ্গে আমাদেরকে জড়িয়ে কেউ ফয়দা লুটার চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে ওই জমি আমরা কিনেছি এবং দীর্ঘ সাত বছর জমিতে চাষাবাদ করেছি। মালিকানা নিয়ে বিরোধ থাকায় এবারো চাষাবাদ করতে গেলে তারা বিভিন্নভাবে চাষাবাদে বাধা দেয়ায় আমরা জমি থেকে সরে আসি। তবে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জমি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গণপতি রায় বলেন, অভিযোগ এখনো হাতে পাইনি। পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৩ফেব্রুয়ারি/কেএম)