ওয়াটার ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ কম্পিটিশন চালু

প্রকাশ | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১২:২৪

তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

তরুণদের সম্পৃক্ত করে পানিসম্পদ রক্ষায় প্রযুক্তি নির্ভর সমাধানে বাংলাদেশ ওয়াটার মাল্টি-স্টেকহোল্ডারস পার্টনারশিপের (বিডব্লিউএমএসপি) সাত সদস্য মিলে চালু করেছে ওয়াটার ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ কম্পিটিশন-২০২১ (ডব্লিউআইসিসি)।

এটুআই-এসপায়ার টু ইনোভেট, পরিবেশ অধিদপ্তর, ঢাকা ওয়াসা, ২০৩০ ওয়াটার রিসোর্স গ্রুপ (২০৩০ ডব্লিউআরজি), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) এবং ইউনিলিভার পিওরইট যৌথভাবে এই প্রতিযোগিতা চালু হয়েছে।

২৩ ফেব্রুয়ারি অনলাইনে আয়োজিত ‘ওয়াটার ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ কম্পিটিশন-২০২১’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত হয়ে উক্ত প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ঘোষণা করেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব  কবির বিন আনোয়ার।

পানিসম্পদের সুরক্ষায় মানুষের অভ্যাসগত পরিবর্তনে সাহায্য করতে মাসব্যাপী এই প্রতিযোগীতার মাধ্যমে প্রযুক্তি নির্ভর সমাধান খুঁজে বের করা হবে। পানির ব্যবহার কমিয়ে আনার পাশাপাশি শিল্পখাতে পানির অধিক ব্যবহার ও শোধনের ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা বাড়াতে উদ্যোগটি ভূমিকা রাখবে।
এছাড়া সুপেয় ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য পানির জন্য অবকাঠামো তৈরিতে সরকারি বিনিয়োগে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রেও এটি সাহায্য করবে। বাংলাদেশে

প্রথমবারের মতো আয়োজিত ‘ডব্লিউআইসিসি-২০২১’ প্রতিযোগিতার থিম রাখা হয়েছে, #WaterSecurity #Innovation #Challenge। হ্যাকথন ধরনের এই চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগীতার লক্ষ্য পানির ব্যবহার নজরদারীর জন্য ‘হাউজহোল্ড ওয়াটার ফুটপ্রিন্ট’ ও ‘ইন্ডাস্ট্রি ওয়াটার ফুটপ্রিন্ট’ ব্যবহার করে যথাযথ টুলস ও প্লাটফর্ম খুঁজে বের করা, যেটি নাগরিকদের এবং শিল্পখাতকে পানি সাশ্রয়ের অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।

কবির বিন আনোয়ার বলেন, ইনোভেশন শব্দটি সামগ্রিক উন্নয়ন কর্মকান্ডের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। আমাদের আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ ও ২০৩০ ওয়াটার গ্রুপ গঠনসহ এমন আরো অনেক উদ্যোগের নেতৃত্ব দিচ্ছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ডেলটা প্ল্যান বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং আমরা আশা করি এর মাধ্যমে সুদূরপ্রসারী ফল বয়ে আনবে ও এই ইনোভেশনের যথাযথ প্রয়োগ আমরা করতে পারব। ডেলটা প্ল্যান ঘোষণার মধ্য দিয়ে একটি সুনির্দিষ্ট সময়ে অভীষ্ট লক্ষ্য নিয়ে একটি সামগ্রিক পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা আমাদের পূর্বে ছিল না। পূর্বে নদীরক্ষা বা পানিসম্পদ রক্ষণাবেক্ষণে কাজ হচ্ছিল খুব অপরিকল্পিতভাবে। অপরিকল্পিত, অনিয়ন্ত্রিত মাটির গভীরের পানি উত্তোলন আবার যখন পানি ছেড়ে দিচ্ছি তখন সৃষ্টি করছি দূষণ, এই দুইভাবে আমরা পানিসম্পদ এর ক্ষতি করে যাচ্ছি।

(ঢাকাটাইমস/২৪ফেব্রুয়ারি/এজেড)