মধুবালার জীবনের সাত পুরুষ

বিনোদন ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১২:৫৯

একের পর এক সম্পর্কে হাঁপিয়ে উঠেছিলেন বলিউডের প্রয়াত চিত্রনায়িকা মধুবালা। একটা সম্পর্কে থিতু হতে চেয়েছিলেন তিনি। সেই মতো ‘চলতি কা নাম গাড়ি’, ‘হাফ টিকিট’ ছবির শুটিংয়ের সময় কিংবদন্তি গায়ক ও অভিনেতা কিশোর কুমারের সঙ্গে সম্পর্কেও জড়িয়েছিলেন। পরে ১৯৬০ সালে কিশোর কুমারের সঙ্গে সাতপাকেও বাঁধা পড়েন অভিনেত্রী।

বিয়ের পর মধুচন্দ্রিমা কাটাতে লন্ডনে উড়ে গিয়েছিলেন মধুবালা ও কিশোর কুমার। সেখানেই চিকিৎসকরা জানান, মধুবালার হৃৎপিণ্ডে জন্মগত ছিদ্র রয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, মধুবালা বড়জোর দুই বছর বাঁচবেন।

মধুবালার বোন জানিয়েছিলেন, কিশোর কুমার অভিনেত্রীকে তাদের কাছে রেখে চলে যান। বলেছিলেন, তিনি প্রায়ই বাইরে থাকেন, তার পক্ষে দেখাশোনা করা সম্ভব হবে না। যদিও মধুবালা কিশোর কুমারের সঙ্গেই থাকতে চেয়েছিলেন। তাদের দুমাসে একবার দেখা হতো। ১৯৬৯ সালে মৃত্যু হয় মধুবালার।

কিশোর কুমারের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর আগে ছয় পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন মধুবালা। মধুবালার জন্ম ও বেড়ে ওঠা দিল্লিতে। পরে অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা থেকে মুম্বাইতে থাকা শুরু করেন।

শোনা যায়, ছোটবেলায় লতিফ বলে এক প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন মধুবালা। তিনি যখন দিল্লি ছেড়ে মুম্বাইতে চলে আছেন তখন লতিফের জন্য একটি লাল গোলাপ রেখে এসেছিলেন মধুবালা। যেটা ছিল তাদের ভালোবাসার চিহ্ন।

জানা যায়, মধুবালার দেওয়া গোলাপ সযত্নে রেখে দিয়েছিলেন লতিফ। অভিনেত্রীর মৃত্যুর পর সেই ফুল তিনি মধুবালার কবরের সঙ্গে দিয়ে দিয়েছিলেন প্রথম ভালোবাসার চিহ্ন হিসেবে।

মধুবালার প্রেমে পড়েছিলেন পরিচালক কেদার শর্মা। যার ‘নেকি অউর বড়ি’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন মধুবালা। জানা যায়, মধুবালাকে বেশ পছন্দ ছিল কেদার শর্মার। তবে কেদার বয়সে অনেকটাই বড় হওয়ার কারণে মধুবালা সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।

পরিচালক কমল আমরোহীর সঙ্গে মধুবালার সম্পর্কের কথাও শোনা গিয়েছিল। যিনি কিনা বলিউডের বিগ বাজেটের হরর ফিল্ম ‘মহল’-এর পরিচালক ছিলেন। শোনা যায়, কমলের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক নিয়ে মধুবালার বাবারও আপত্তি ছিল না।

তবে কমল আমরোহীর দ্বিতীয়া স্ত্রী হওয়াতে আপত্তি ছিল মধুবালার। তিনি কমলকে প্রথম স্ত্রী মীনা কুমারীকে তালাক দেওয়ার জন্য জোর করেন। তবে তাতে কমল আমরোহী রাজি ছিলেন না।

মধুবালার সঙ্গে প্রেমনাথের পরিচয় হয়েছিল ‘বাদল’-এর শুটিং সেটে। ততদিনে মধুবালা সুপারস্টার হয়ে গেছেন। তবে ছয় মাসের বেশি তাদের সম্পর্ক টেকেনি। শোনা যায়, মধুবালা নিজেই প্রেমনাথের থেকে দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করেন। তবে তার বোনের কথায়, ধর্মীয় কারণে মধুবালা-প্রেমনাথের সম্পর্ক ভেঙেছিল।

বলিউডে একসময় অন্যতম চর্চিত বিষয় ছিল দিলীপ কুমারের সঙ্গে মধুবালার প্রেম। যেটা শুরু হয়েছিল ১৯৫১ সালে ‘তারানা’ ছবির শুটিং সেট থেকে। টানা ৯ বছর ধরে সম্পর্কে ছিলেন তারা। তবে দিলীপ কুমার-মধুবালার সম্পর্কে ইতি ঘটে ‘মুঘল-ই আজম’-এর শুটিংয়ের সময়।

তাদের বাগদান হয়ে গিয়েছিল বলেও জানা যায়। তবে মধুবালার বাবার কারণেই নাকি সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল। মধুবালার বোন জানিয়েছিলেন, দিলীপ কুমার বলেছিলেন, ‘বাবাকে ছেড়ে এলে আমি তোমাকে বিয়ে করতে প্রস্তুত।’

অন্যদিকে মধুবালার দিলীপকে বলেছিলেন, ‘বাড়িতে এসে তার বাবার কাছে ক্ষমা চাইতে।’ অর্থাৎ, শুধুমাত্র ইগোর কারণেই শেষ হয়ে যায় দিলীপ কুমার ও মধুবালার প্রেম। এই নায়িকার বাকি আরেকজন প্রেমিকের সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায়নি।

ঢাকাটাইমস/২৪ফেব্রুয়ারি/এএইচ

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :