আবাসন ব্যবসার নামে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ৯

রিয়েল এস্টেট ব্যবসার আড়ালে ২৪ মাসে দ্বিগুণ লাভ দেয়ার প্রলোভন দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে একটি চক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করছে ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন (সিআইডি)। মঙ্গলবার রাতে ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির সদরদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান সিআইডির (ডিএমপি)’র অতিরিক্ত উপ-মহা পরিদর্শক শেখ ওমর ফারুক।

শেখ ওমর ফারুক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আবাসিক এলাকায় রিয়েল এস্টেট ব্যবসার নামে বিভিন্ন লোভনীয় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে গ্রাহকদের অধিক মুনাফা দেয়ার প্রলোভন কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মাধ্যমে প্রতারণা করে আসছে একটি চক্র- এমন অভিযোগে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানা একটি মামলা দায়ের করেন এক ভুক্তভোগী।

চক্রের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে সিআইডির ডিএমপি পশ্চিম থানার কর্মকর্তারা জানতে পারেন, রিয়েল এস্টেট ব্যবসার আড়ালে চক্রটি চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিতো। এরপর তারা ঠিকানা পরিবর্তন করে বিভিন্ন স্থানে নতুন নতুন অফিস খুলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে একই কায়দায় প্রতারণা করতো।

অতিরিক্ত ডিআইজি আরও বলেন, এই চক্রটি এখন পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানতে পেরেছে সিআইডি। চক্রের মূল টার্গেট ছিল অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এমনকি অনেক অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য এই চক্রের মাধ্যমে প্রতারিত হয়েছেন।

অভিযানের কথা টের পেয়ে চক্রের মূল দুই হোতা পালিয়ে গেছে। তবে তাদের নাম পরিচয় প্রকাশ করেনি সিআইডি।

সিআইডি ও ডিএমপি পশ্চিম টিমের হাতে গ্রেপ্তার প্রতারক চক্রের সদস্যরা হলেন- আল আমিন, মামুন, মঞ্জুর রহমান মোহন, মোজাম্মেল হোসেন, সাইফুল ইসলাম, আব্দুল হালিম, জাহাঙ্গীর আলম, শাহাদত হোসেন সুমন, আমিনুল ইসলাম।

সিআইডির অভিযানে চক্রটির অফিস থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ নথি জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, ফ্ল্যাট বুকিং আবেদন ফরম ৫০টি, এসএস আবাসনের লেনদেনসংক্রান্ত রেজিস্ট্রার সাতটি, এসএস আবাসনের চুক্তিপত্র একশ টাকা দামের নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ৩৬টি, আবেদন ফরম ৩৫টি, গ্রাহকদের সঙ্গে লেনদেনসংক্রান্তে খাতা ১৭টি, ডেবিট ভাউচার দুটি, মানি রিসিট ছয়টি, কমিশন সিটের ছয়টি পাতা, বিপুল পরিমাণ ভিজিটিং কার্ড।

(ঢাকাটাইমস/২৪ফেব্রুয়ারি/এআর/জেবি)