চলে গেলেন সাংবাদিক ও ছড়াকার আহমাদ উল্লাহ
সাংবাদিক, ছড়াকার ও লেখক এবং দৈনিক যুগান্তরের দীর্ঘদিনের বিভাগীয় সম্পাদক হাফেজ আহমাদ উল্লাহ ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)।
বুধবার রাত ১০টা ৫ মিনিটে রাজধানীর হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে যান।
আহমাদ উল্লাহর বড় ছেলে খৈয়াম ঢাকা টাইমসকে জানান, তার বাবা কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। গত কয়েক দিন ধরে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। তার দুটি কিডনিতেই সমস্যা দেখা দিয়েছিল।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় জানাজা শেষে আজিমপুরে আহমাদ উল্লাহকে সমাহিত করা হবে বলে জানান তার ছেলে।
হাফেজ আহমাদ উল্লাহ দৈনিক যুগান্তরের শুরু থেকেই পত্রিকাটির সঙ্গে ছিলেন। ২১ বছরের বেশি সময় তিনি যুগান্তরের ‘ইসলাম ও জীবন’ পাতাটি সম্পাদনা করেন। এর বাইরেও তিনি বিভিন্ন সময় ফিচার বিভাগের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন। এ সময় তিনি অগণিত নবীন লেখককে পৃষ্ঠপোষকতা করেন।
আহমাদ উল্লাহর জন্ম ১ নভেম্বর ১৯৫৮ নরসিংদীতে। তিনি কুরআনের হাফেজ ছিলেন এবং সরকারি তিতুমীর কলেজ থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন।
ছড়াকার হিসেবেও তার পরিচিতি ছিল। তার প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- ১. বকলম (১৯৮৩) ২. ইনুনি বিনুনি (১৯৮৬) ৩. কাঁচাগাব পাকাগাব (১৯৯০) ৪. আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা (১৯৯২) ৫. পাঁচ কুড়ি ছড়া (১৯৯৭) ৬. চিরদিনের রূপবান (১৯৯০) ৭. হারিয়ে যেতে নেই মানা (১৯৮৮) ৮. রাজাকারের কেচ্ছা (১৯৯০)। এছাড়া পঞ্চম জাতীয় সংসদ সদস্য প্রামাণ্যগ্রন্থটি (১৯৯২) তিনি সম্পাদনা করেন।
(ঢাকাটাইমস/২৫ফেব্রুয়ারি/জেবি)