বিএনপির ৭ মার্চ পালনের চেষ্টা রাজনীতির জন্য ইতিবাচক: কাদের

প্রকাশ | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৪:৫৩ | আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৫:৩৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ওবায়দুল কাদের

বিএনপির ৭ মার্চ পালনের প্রচেষ্টা দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে ইতিবাচক আবহ তৈরি করবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেন ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

বিএনপি শাসনামলে রেডিও টেলিভিশনে বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণটি প্রচার হয়নি। আওয়ামী লীগ বারবার অভিযোগ করে আসছে, বিরোধী দলে থাকতে তারা ভাষণটি বাজাতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন।

এবার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে বিএনপি যেসব কর্মসূচি নিয়েছে তার মধ্যে দুটি কর্মসূচি আছে ঐতিহাসিক দুটি দিনে। যা দলটি প্রথমবারের মতো পালন করতে যাচ্ছে। দিবস দুটি হলো ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ও ২৫ মার্চ।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চকে যারা এতদিন নিষিদ্ধ করে রেখেছিল তারাই এখন ৭ মার্চ পালন করবে। বিএনপির এই সিদ্ধান্তকে আওয়ামী লীগ স্বাগত জানায়। তিনি মনে করেন বিএনপির এ প্রচেষ্টা দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে ইতিবাচক আবহ তৈরি করবে।

বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা, বাংলাদেশ এক সূত্রে গাঁথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু সবার। তাকে মর্যাদার আসনে অভিষিক্ত করার অর্থই হচ্ছে দেশ ও স্বাধীনতার মূল্যবোধকে সম্মানিত করা।

সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু দিয়েছেন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র, ভৌগোলিক মুক্তি পক্ষান্তরে তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা দিয়েছেন অর্থনৈতিক মুক্তি এবং ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্তির রোল মডেল।

২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে একটি সমৃদ্ধ দেশে উন্নীত করতে হলে শেখ হাসিনার যে স্বপ্ন তা সফল করতে হলে শিশুদের যোগ্য নাগরিক হয়ে গড়ে উঠার আহবান জানান তিনি।

বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাই নতুন প্রজন্মের রোল মডেল হবে বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধু পরিবার সততা, মেধা ও সাহসের প্রতীক।

বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাই হবে নতুন প্রজন্মের রোল মডেল, অনুকরণীয় আদর্শ, তাদেরকে স্মরণ করেই এগিয়ে যেতে হবে।

তরুণদের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, দীর্ঘদিন ইতিহাসের পায়ে শেকল পরে রাখা হয়েছিল, করা হয়েছিল বিকৃত। তাই তরুণদের দেশ ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে।

বর্তমান বিশ্বে সেরা তিনজন রাষ্ট্রপ্রধানের একজন শেখ হাসিনা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ৭৫ পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যগণ কেউ গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দেয়নি। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের কেউ হাওয়া ভবন সৃষ্টি করেনি।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের সদস্যরা আগামীতে সোনার মানুষ তৈরি করবে বলে অনুষ্ঠানে জানান ওবায়দুল কাদের।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান রকিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, আনোয়ারুল আবেদিন তুহিন, সংগঠনের মহাসচিব মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী এবং সাংগঠনিক সচিব কে এম শহীদুল্লাহ।

ঢাকাটাইমস/২৫ফেব্রুয়ারি/টিএ/এমআর