বাঁধ সংস্কার প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশ | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২২:২০

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার নালড়া-চর বেতিলা-গোবিন্দপুর বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী কয়েকজন স্থানীয় কৃষক মানিকগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)-এর নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার নালড়া-চর বেতিলা-গোবিন্দপুর পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিমিটেডের মাধ্যমে ৭৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নালড়া-চর বেতিলা-গোবিন্দপুরে আড়াই কিলোমিটার বাঁধের পুনঃসংস্কার করা হচ্ছে। বাঁধ সংস্কার প্রকল্পের সভাপতি হিসেবে রয়েছেন বেতিলা-মিতরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন। বাঁধের আওতাধীন অনেক জমির মালিকদের সাথে যোগাযোগ না করে নিয়মবহির্ভূতভাবে গাছপালা কেটে নেওয়ার নোটিশ প্রদান করেন তিনি। এতে করে অনেক কৃষকদের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তারা ক্ষতিগ্রস্তদের একটি সুষ্ঠু সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।

এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, ২.৬ কিলোমিটার এই বাঁধের পুনঃসংস্কার কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৮ লাখ টাকা। ১৭টি কমিটি করে তাদের মধ্যে এই কাজ বণ্টন করে দেওয়া হয়েছে। ভেকু মেশিন দিয়ে ৭০ ভাগ ও ৩০ ভাগ মাটি জনবল দিয়ে সংগ্রহ করতে হবে।

চর বেতিলা গ্রামের কৃষক কাজী সুন্নত জানান, প্রায় ৪০ বছর আগে তৎকালীন বেতিলা-মিতরার ইউপি চেয়ারম্যান কৃষকদের সুবিধার্থে ওই স্থানে একটি বাঁধ নির্মাণ করে দিয়েছিলেন। তবে ওই সময় তাদের কোন প্রকার আর্থিক সহযোগিতা করা হয়নি। বাঁধের দুই পাশে কৃষকদের রেকর্ডীয় জমি রয়েছে। সেই জমিতে কৃষকরা চাষাবাদ করে আসছে। বর্তমানে ওই বাঁধ সংস্কার করা হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, নদী অথবা অন্যত্র থেকে মাটি এনে বাঁধ সংস্কার করার বিধান থাকলেও সেই নিয়ম মানা হচ্ছে না। তারা বাঁধের পাশ এবং কৃষকদের জমি থেকে মাটি কেটে নিচ্ছে। আর বাঁধের পাশ থেকে মাটি কাটলে বর্ষায় বাঁধটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এতে করে সরকারের টাকারই অপচয় হবে।

হাসিনা বেগম নামে এক গৃহবধূ জানান, ওই বাঁধের কারণে আমার ১০ শতাংশ জমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সরকার তো আমাকে কোন ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে না। বাঁধ নির্মাণ হলে আমাদের কোন সমস্যা নেই। তবে আমাদের যে ক্ষতি হবে, সেটা আমাদের বুঝিয়ে দিতে হবে।

স্থানীয়দের অভিযোগের ব্যাপারে প্রকল্প সভাপতি, বেতিলা মিতরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির হোসেন জানান, নিয়মানুযায়ী আমার তদারকির দায়িত্ব থাকলেও আমি ওই কাজের তদারকি করতে পারছি না। তবে, অভিযুক্তদের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি গুরুত্ব দেয়া হবে।

এ ব্যাপারে এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী আশিক ইয়ামিন জানান, বাঁধের পাশ থেকে মাটি কাটার বিধান নেই। স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার মাটি কাটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৫ফেব্রুয়ারি/এলএ)