রাঙামাটিতে ব্রকলির ভালো ফলন

প্রকাশ | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৫:২০ | আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৬:১৯

হিমেল চাকমা, রাঙামাটি

রাঙামাটির পুরো জেলায় এখন ব্রকলির চাষ হচ্ছে। প্রতিটি উপজেলায় এর ফলনও হয়েছে বেশ। জেলার নানিয়াচর উপজেলার ঘিলাছড়ি ইউনিয়নে বুয়ো আদামের রিপন চাকমার ব্রকলি ক্ষেতে গিয়ে দেখা গেছে প্রচুর ব্রকলি। আকারে প্রতিটি ৫০০ গ্রাম থেকে দুই কেজি পর্যন্ত হয়।

রিপন চাকমা জানান, এ বছর তিনি ২০ শতক জমিতে দুই হাজার ব্রকলি চারা রোপণ করেছেন। এর মধ্যে এক হাজার ৫০০ চারাতেই ব্রকলি হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩০/৪০ কেজি বিক্রি হয়ে গেছে। এ বছর সব ব্রকলি বেচে প্রায় ৪০/৪২ হাজার টাকা পাবেন তিনি।

তিনি আরও জানান, রাঙামাটির এনজিও জুম ফাউন্ডেশনের পরামর্শ ও আর্থিক সহায়তা পেয়ে তিনি ব্রকলি চাষ করেছেন। এনজিওটি খাঁটি বীজ, জৈব সার দিয়েছে।

জুম ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সজল চাকমা জানান, জেলায় রিপনের মত আরো ১৫০ জন কৃষক ব্রকলি, গাজর চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছেন। প্রত্যেক উপজেলায় পুষ্টিকর সবজি উৎপাদন করতে তারা এসব কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। পরে প্রশিক্ষণ শেষে তাদের পুষ্টিকর ও লাভজনক সবজির বীজ ও জৈব সার দেয়া হয় বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, এ কৃষকদের স্থানীয় কৃষি বিভাগের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে দেয়া হয় যাতে তারা কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিতে পারেন। তাদের এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল, পুষ্টিকর সবজি উৎপাদন করে নিজেদের পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করার পাশাপাশি স্থানীয় কৃষকদের এসব সবজি চাষে উৎসাহিত করা।

রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষ্ণ প্রসাদ মল্লিক বলেন, এক সময় ব্রকলি বাইরে থেকে আনা হত রাঙামাটিতে। এখন রাঙামাটির ব্রকলি স্থানীয়দের চাহিদা পূরণ করছে।

প্রসঙ্গত, গত বছর এ জেলায় ২০ হেক্টর জমিতে ব্রকলি চাষ হয়েছে। জেলায় এ সবজির চাষ প্রতি বছর বাড়ছে। জেলার জুরাছড়ি, বরকল, নানিয়াচর, কাউখালী, রাজস্থলী, কাপ্তাই, বিলাইছড়ি, লংগদু, বাঘাইছড়ি, রাঙামাটি সদর উপজেলায় চাষ হয়েছে এসব ব্রকলি।

(ঢাকাটাইমস/২৬ফেব্রুয়ারি/পিএল)