‘উন্নয়ন চাইলে নৌকায় ভোট দেয়ার বিকল্প নেই’

প্রকাশ | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৭:১২

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

‘সৈয়দপুরের প্রকৃত উন্নয়ন চাইলে মেয়র পদে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার বিকল্প নেই। একটি পৌরসভায় উন্নয়ন করতে হলে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমেই করতে হয়। সেটা করতে হলে নৌকা মার্কার প্রার্থীকে মেয়র হিসেবে নির্বাচিত করতে হবে।’

উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় শহরের অফিসার্স ক্লাব প্রাঙ্গণে নৌকা মার্কার সমর্থনে উর্দূভাষী ক্যাম্পবাসীদের নিয়ে আয়োজিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

জাহাঙ্গীর কবির নানক আরও বলেন, ‘সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় সৈয়দপুর বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা হচ্ছে। আর্মি ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শিক্ষানগরী সৈয়দপুরের মান আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। সৈয়দপুর কারিগরী মহাবিদ্যালয়কে বিজ্ঞান কলেজে রুপান্তর করাসহ পৃথক একটি টেকনিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ইতোপূর্বে শেখ হাসিনাই উত্তরা ইপিজেড প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মঙ্গাপীড়িত নীলফামারীকে আমূল বদলে দিয়েছে। একইভাবে অর্থনৈতিক জোন তৈরির মাধ্যমে ব্যাপক কর্মসংস্থান ও আর্থিক বিপ্লব ঘটনানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও রেলওয়ে কারখানাতে আরও একটি ওয়াগন সপ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে উন্নয়নের মাত্রা ত্বরান্বিত করা হচ্ছে।’

এই ধারাবাহিকতায় নীলফামারী ও সৈয়দপুরে আরও নানা ধরণের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালিত হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কিন্তু পৌর এলাকায় কোনো কাজ করতে গেলে তা পৌর পরিষদের মাধ্যমেই করতে হবে। তাই এখানে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের নেতা থাকলে তা অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে করা সম্ভব হবে। দীর্ঘ ৩০ বছর বিএনপি’র লোক মেয়র থাকায় উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছে সৈয়দপুর। তা থেকে উত্তরণ ঘটাতে আপনারা যদি উদ্যোগী হন এবং নৌকা মার্কায় ভোট দেন তাহলে সার্বিক উনন্নয়নের চিত্র পাল্টে ফেলা হবে। তাই আমাদের নেতা মরহুম আখতার হোসেন বাদলের স্ত্রী রাফিকা জাহান আকতার বেবীকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আগামী প্রজন্মের জন্য সমৃদ্ধ সৈয়দপুর গড়তে সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

এসময় এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক মন্ত্রী নানক বলেন, ‘বিএনপি’র চরিত্রই হলো মিথ্যাচার করা। তাই সৈয়দপুর বিএনপির মিথ্যা অভিযোগে তাদের নেতাকে আটক ও নির্বাচনী কাজে বাধার দেওয়ার অভিযোগ এনেছে।’

এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন বলেন, ‘সৈয়দপুরের নির্বাচনী পরিবেশ অত্যন্ত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ রয়েছে। এতে ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করায় গোলাহাট এলাকার সংঘর্ষে জড়িত থাকায় পৌর বিএনপির আহ্বায়ক শেখ বাবলুকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এতে আওয়ামী লীগের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।’

এসময় ক্যাম্পবাসীদের পক্ষে বক্তব্য দেন- উর্দূভাষী নেতা আশরাফুল হক বাবু, বাঁশবাড়ী ক্যাম্পের সভাপতি আকবরই আজম ও খুলনা থেকে আগত শাহিন আলম।

পথসভায় আরও ছিলেন- কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক, নীলফামারী জেলা সভাপতি ও পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সভাপতি মমতাজুল হক, উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সানজিদা বেগম লাকী, যুবলীগের আহ্বায়ক দিল নেওয়াজ খান, যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুল ইসলাম আসাদসহ স্থানীয় নেতারা।

ঢাকাটাইমস/২৬ফেব্রুয়ারি/পিএল)